ভিডিও

‘শেখ হাসিনা ভারতে বসে ষড়যন্ত্র করছে’

প্রকাশিত: অক্টোবর ০৪, ২০২৪, ০৬:৫৮ বিকাল
আপডেট: অক্টোবর ০৫, ২০২৪, ০৫:২৬ সকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেছেন, শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গেছে। একটা মানুষ দেশ থেকে তখনই পালায়, যখন জনশত্রুতে পরিণত হয়। হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গেলেও ষড়যন্ত্র পালিয়ে যায়নি। সে ভারতে বসে দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। কারণ তাদের টাকার অভাব নেই। কোটি কোটি টাকা আওয়ামী লীগ সরকার লুটপাট করেছে। সেই টাকা দিয়েই এখন দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।

আজ শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদরের বাঙাখাঁ ইউনিয়নের বন্যাদুর্গত এলাকায় জেলা বিএনপি আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন তিনি। 

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বিগত ১৬ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। আন্দোলন করতে গিয়ে কেউ গুম, খুন হয়েছে, কেউ হামলা-মামলার শিকার হয়েছে। এসব অপকর্ম যারা করেছে তারা সবাই গ্রেপ্তার হয়নি। রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি। বিচার প্রক্রিয়া এখনো শুরু হয়নি। এজন্য সরকারের কাছে দাবি খুনিদের অনতিবিলম্বে বিচার করতে হবে। খুনিদের বিচার না করলে সমাজ আঘাতপ্রাপ্ত হবে এবং দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।  

খুনিদের বিচার করে জনগণের কাছে জবাবদিহিতার কথা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, জনগণের জন্য আমরা আন্দোলন, সংগ্রাম ও লড়াই করেছি। জনগণের জন্য দেশটা গড়তে চাই। কিন্তু মুখে বলবো দেশ ও জনগণের জন্য করেছি কিন্তু আমরা নেতা ও দায়িত্বশীল হয়ে জনগণকে সমীহ না করলে কথায় আর কাজে মিল থাকবে না। কথায় এবং কাজে মিল রাখতে হলে জনগণকে প্রাধান্য দিতে হবে। এটা সকল রাজনীতিক দল এবং দায়িত্বশীলদের দায়িত্ব।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি জনগণকে সমীহ করে বলেই তারেক রহমান যতগুলো বক্তব্য দিচ্ছে, প্রত্যকটি বক্তব্যে বলেছেন জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে। তাই বিএনপির সকল অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীর উচিত বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়ানো। বিপদে-আপদে তাদের পাশে দাঁড়ানো। জনগণকে বুঝিয়ে দিতে হবে বিএনপি আওয়ামী লীগের মতো নয়, তারা  লুটপাট করে, তারা দেশের ক্ষতি করেছে। তাদের বিচার করতে হবে। 

জেলা বিএনপির আয়োজিত মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক এ্যাডভোকেট হাছিবুর রহমান, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাইন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ ও বিএনপি নেতা এবিএম মামুনসহ জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী।

প্রসঙ্গত, বন্যাপরবর্তী সময় জেলা বিএনপির উদ্যোগে বন্যাদুর্গত সদর থানার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ৯টি ইউনিয়নে মেডিকেল ক্যাম্প করা হয়।   



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS