ভিডিও

‘সিন্ডিকেটের মূলহোতাদের বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেফতার করা হবে’ 

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০২৪, ০২:৪৫ দুপুর
আপডেট: অক্টোবর ১৫, ২০২৪, ০৬:১৩ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া বলেছেন, দেশে দ্রব্যমূল্য বাড়াতে যেসব সিন্ডিকেট ভূমিকা রাখছে, তাদের মূলহোতাদের বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেফতার করা হবে।

আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। জনগণ সস্তায় নিত্যপণ্য পেতে চাচ্ছে, এ ক্ষেত্রে আপনাদের পদক্ষেপ কী-এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘একের পর এক অনেক চ্যালেঞ্জ আমরা মোকাবিলা করছি। দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে অনেক বিষয় জড়িত। বন্যায় অনেক ফসল নষ্ট হয়ে গেছে, যে কারণে শাক-সবজির দাম বেশি। জোগান ও চাহিদার মধ্যে ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়েছে। কিন্তু অন্যান্য পণ্যের ক্ষেত্রে সিন্ডিকেটের প্রভাব আছে। এ সিন্ডিকেট ভাঙতে আমরা কাজ করছি।’ উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনকে দুর্বল করা হয়েছে। করপোরেটদের সঙ্গে আগের সরকারের একটা যোগাযোগ থাকার কারণে এটাকে এত দুর্বল করা হয়েছে যে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটা প্রতিবেদন আসে যে অভিযান হলো। সেখানে ৩ হাজার টাকা, ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হলো। এটাতো ইফেক্টিভ না।’

এই উপদেষ্টা বলেন, ‘আগে যেমন ছিল ওনাদের একটা জেল দেওয়ারও ক্ষমতা ছিল আইনে। ব্যাপারগুলোকে এমনভাবে নষ্ট করা হয়েছে এটা টাইম নেবে একটু, আইন সংশোধন করা, শক্তিশালী করা। কিন্তু এর আগে আমরা ভাবছি যে আমাদেরকে তো হার্ডলাইনে যেতে হবে। না হলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। সেক্ষেত্রে বিশেষ ক্ষমতা আইনে যারা একদম মূলহোতা আছে বিভিন্ন সিন্ডিকেটের, প্রয়োজনে করপোরেটের যেসব কোম্পানিগুলো এটা করছে ইচ্ছাকৃতভাবে, আমাদের কাছে কিছু রিপোর্ট আছে, আমরা তাদেরকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে অ্যারেস্ট করব।’ এখন চাঁদাবাজি আর সিন্ডিকেট কারা নিয়ন্ত্রণ করছে-এ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আগে যে সিন্ডিকেট ছিল, সেটা আওয়ামী লীগ সরকার নিয়ন্ত্রণ করতো। কিন্তু সিন্ডিকেটের ভেতরে তো ব্যবসায়ীরাই বসেছিলেন। তারা এখনো রয়ে গেছে। তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থ বাঁচাতে কোনো কোনো রাজনীতিবিদের সঙ্গে লিয়াজোঁর মাধ্যমে সিন্ডিকেট টিকিয়ে রেখেছেন। সেক্ষেত্রে আমরা শনাক্ত করছি। সেটা সমন্বয় করার চেষ্টা করছি।’

তিনি বলেন, কারওরান বাজারে চাঁদাবাজির সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, একজন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করা হলে সেই জায়গায় অন্যজন রিপ্লেস হয়ে যান। আমরা গোড়াটা শনাক্ত করার চেষ্টা করছি, কাজ করছি। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোকেও সহায়তা করতে হবে। উপদেষ্টা বলেন, কারণ রাজনৈতিক দলগুলো যদি আগের সেই ইভিল প্র্যাকটিসের (বাজে চর্চা) ঢুকে যান, তাহলে শেষ পর্যন্ত যে পরিবর্তনের জন্য এত মানুষ জীবন দিয়েছেন, সেটা সম্ভব হবে না। প্রতিটি পক্ষকে সহায়তা করতে হবে। তবে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এটা পরিলক্ষিত হচ্ছে, তারা যে কোনো অন্যায় বা দুর্নীতির ক্ষেত্রে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবে আরও প্রান্তিক পর্যায়ে তারা যদি এটা বাস্তবায়ন করতে পারে, তাহলে লোকাল পর্যায়ের দুর্নীতিও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS