ভিডিও

কাদের মির্জাসহ ১১২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৪, ০৬:৪৭ বিকাল
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৪, ০৬:৪৭ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে জামায়াত-শিবিরের চার নেতাকর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল কাদের মির্জাসহ ১১২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার আবেদন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রামপুর ইউনিয়নের নিহত সাইফুল ইসলামের বড় ভাই মো. আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ৮ নম্বর আমলি আদালতে মামলাটি করেন।

 

বাদীর আইনজীবী ও জেলা বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট এবিএম জাকারিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাসহ ১১২ জনের নামোল্লেখ করা হয়। এরমধ্যে কাদের মির্জার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছাড়াও তৎকালীন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান, থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলামসহ ১৯ পুলিশকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বাদী জানান, ‘২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর বিকেলে কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকরের প্রতিবাদে বসুরহাটে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জামায়াত-শিবির। এতে আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে তার সহযোগীরা অস্ত্র হাতে মিছিলে হামলা চালায়। এতে কাদের মির্জা ও ইউপি চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন মিকনের গুলিতে সাইফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে নিহত হন।’

 

অন্যদিকে একই সময় তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মো. নুরুজ্জামানের নির্দেশে পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সফিকুল ইসলাম, এসআই শিশির কুমার, এএসআই উক্যসিং মারমার গুলিতে বসুরহাট পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুর রহমানের ছেলে মতিউর রহমান সজিব নিহত হন।

মামলার বাদী মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি এবং আমার ভাই সাইফুল ইসলাম জামায়াতের সক্রিয় কর্মী। আমরা ঘটনার সময় দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করি। এতে কাদের মির্জার নেতৃত্বে তার সহযোগী ও প্রশাসনের গুলিতে আমার ভাইসহ চারজন ঘটনাস্থলে মারা যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার পর আমরা এ হত্যার বিচার চাইলেও আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় কোনো বিচার পাইনি। এমনকি গত ১১ বছর ভুক্তভোগী নিহতদের পরিবারের লোকজন বাড়িঘরে থাকতে পারেনি।’



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS