ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : ধুনট উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় কতজন চাকরি পেয়েছেন তাদের নামের তালিকা করা হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এ তালিকা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। শিক্ষক পদে কতজন আসল আর কতজন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি পেয়েছেন তা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য এই তালিকা হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সংগৃহীত তালিকা অনুযায়ী জানা যায়, এ উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৭৬ জন শিক্ষক মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি পেয়েছেন। এরমধ্যে প্রধান শিক্ষক পদে তিনজন ও সহাকরী শিক্ষক পদে ৭৩ জন। শিক্ষক পদে নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে পুরুষ ২০ জন ও নারী রয়েছেন ৫৬ জন। ইতিমধ্যে এই তালিকা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার কিছু দিনের মধ্যেই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের তালিকা সংগ্রহের কাজ শুরু করে। সেই অনুযায়ী শিক্ষকদের নামের তালিকা পাঠিয়েছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। গত আগস্ট মাসের তৃতীয় সপ্তাহে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই তথ্য চাওয়া হয়।
অভিযোগ রয়েছে, বিগত সরকারের সময় অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাকে সনদ দেওয়া হয়েছে। সেই সনদ দিয়ে অনেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে চাকরি নিয়েছেন। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বিষয়টি খতিয়ে দেখার পদক্ষেপ নিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে দেশের সব উপজেলা থেকে শিক্ষকদের নামের তালিকা সংগ্রহ করেছে অধিদপ্তর। এই তালিকা সংগ্রহ করার পর শিক্ষক পদে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরিপ্রাপ্তদের মধ্যে নানা শঙ্কা তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ রীতিমতো ভয়ে রয়েছেন। কখন কী হয় তা নিয়ে শঙ্কিত এসব শিক্ষক।
এ বিষয়ে ধুনট উপজেলা শিক্ষা অফিসার ফজলুর রহমান জানান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরিরত শিক্ষকদের নামের তালিকা চাওয়ার পর তা পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে অধিদপ্তর থেকে কোনো নির্দেশনা এলে সেই অনুযায়ী কাজ করা হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।