ভিডিও

দুর্গাপূজার মূল অনুষঙ্গ নারিকেলের বেচাকেনার সাথে বেড়েছে দামও

প্রকাশিত: অক্টোবর ০১, ২০২৪, ০৭:০০ বিকাল
আপডেট: অক্টোবর ০২, ২০২৪, ১২:০৭ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : দুর্গাপূজা আসন্ন। সনাতন ধর্মাবালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় এই উৎসব উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে জোরেশোরেই। মন্ডপ তৈরি, আলোকসজ্জা, প্রতিমা প্রস্তুত, বাড়ির ধোয়ামোছায় ব্যস্ত সময় পার করছেন সনাতন ধর্ম বিশ্বাসীরা। পূজোর উপকরণ বিক্রির দোকানগুলোতেও ভিড় বাড়ছে। পূজোর অন্যতম প্রয়োজনীয় উকরণ নারিকেল বিক্রিও জমে উঠতে শুরু করেছে।

দুর্গাপূজায় নারিকেলের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে পুরোহিত আনন্দ কুমার দৈনিক করতোয়া‘কে বলেন ‘নারিকেল দুর্গাপূজার মূল অনুষঙ্গ। পূজোর সংকল্পে, ঘটে ও যজ্ঞে এর উপস্থিতি অত্যাবশ্যকীয়।’ তিনি আরও বলেন ‘দুর্গা দেবীর পূজোর জন্য প্রয়োজনীয় নারিকেল মন্দির কমিটিই দিয়ে থাকে। এই পূজার এই পর্বগুলো সম্পন্ন করতে ২০ থেকে ২৫টি নারিকেলের প্রয়োজন, নারিকেল ছাড়া পূজা অসম্পূর্ণ।’

শহরের দক্ষিণ চেলোপাড়ার গৃহিনী অনিতা রানী দৈনিক করতোয়া‘কে বলেন, ‘পূজোয় অতিথি আপ্যায়নে নারিকেলের বিকল্প কিছু নেই। নারিকেলের দু’ধরণের নাড়ু, পায়েসসহ আরও বেশকিছু মিষ্টি জাতীয় খাবার তৈরিতে নারিকেল প্রয়োজন।’ তার বাড়িতে পূজোয় ১৫ থেকে ২০টি নারিকেলের প্রয়োজন পড়ে বলে তিনি জানান।

শহরের পার বগুড়ার আরেক গৃহিনী সুহাসিনী মন্ডল বলেন ‘নারিকেল ছাড়া আবার পূজো হয় নাকি? অতিথি আপ্যায়নে কিছু থাক আর না থাক নারিকেলের নাড়ু ও পায়েস থাকতেই হবে। এছাড়াও দেবি দুর্গোর পূজোর জন্য বাড়িতে নারিকেল রাখতে হয়।

পূজোয় নারিকেলের নানা প্রয়োজনের কারণে জমে উঠতে শুরু করেছে পণ্যটির বেচকেনা। শহরের চেলোপাড়া ও স্টেশন রোডের নারিকেলের আড়তগুলোতেও পণ্যটির সরবরাহ ও বিক্রি বাড়ছে। এছাড়াও শহরের বাজারগুলোর খুচরা নারিকেলে বিক্রির দোকানের পাশাপাশি ও ফেরি করেও বিক্রি বেড়েছে। বগুড়ায় ভোলা, যশোর ও নোয়াখালি থেকে নারিকেল আনা হয়। জেলার চাহিদা মিটিয়ে আশেপাশের জেলাগুলোর চাহিদাও মেটায় এই নারিকেল।

বিক্রেতা অনিমেষ কুমার দৈনিক করতোয়া‘কে বলেন, নারিকেলের আকারভেদে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। পাইকারি আড়তগুলোতেই প্রতিটি নারিকেলে বাড়তি দাম চাওয়া হচ্ছে, ফলে খুচরাতেও এর প্রভাব পড়েছে। তিনি বলেন, গড়ে প্রতিটি নারিকেল আগে ৯০-১০০ টাকা কেনা পড়লেও বর্তমানে দাম পড়ছে ১১০-১২০ টাকা করে। সেগুলো বাছাই করে আকারভেদে প্রতিটি ১১০-১৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

আড়তদাররা দৈনিক করতোয়া‘কে বলছেন, প্রতি বছর পূজোতে নারিকেলের চাহিদা বাড়ায় বেচাকেনাও বাড়ে। তবে পূজোর বেচাকেনা এখনও সেভাবে শুরু হয়নি। মোকামগুলোতেই নারিকেলের আকারভেদে ৫-১০ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়ার কথা বলছেন আড়তদাররাও।

তারা দৈনিক করতোয়া‘কে বলছেন, গত বছর যে আকারের নারিকেল ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে এবার তার দাম বেড়ে ৯০-৯৫ আর পূজো উপলক্ষ্যে তা ১০০ টাকায় ঠেকেছে। বড় আকারের নারিকেল পাইকারিতে ১২০-১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত বছর ছিল ১০০-১০৫ টাকা, খুচরা পর্যায়ে এই নারিকেলগুলো ১৫০ টাকা পর্যন্ত বেচাকেনা হচ্ছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS