ভিডিও

জরাজীর্ণ টিনশেডের শ্রেণিকক্ষে চলছে পাঠদান

বগুড়ার আদমদীঘিতে পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি স্কুলের চারতলা ভবনের কাজ

প্রকাশিত: অক্টোবর ০৩, ২০২৪, ০৯:২৭ রাত
আপডেট: অক্টোবর ০৩, ২০২৪, ১০:৪৩ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

সান্তাহার (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার আদমদীঘির গোড়গ্রাম মডেল আইডিয়াল স্কুলের চার তলাবিশিষ্ট নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ গত পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে সাড়ে তিন বছর পেরিয়ে গেলেও ৮০ শতাংশ নির্মাণ কাজ শেষে বাঁকি অংশের কাজ ফেলে রেখেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এতে শ্রেণিকক্ষের সংকটে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

জানা যায়, উপজেলা সদরে গোড়গ্রাম মডেল আইডিয়াল স্কুলটি ১৯৯৯ সালে স্থাপিত হয়। বর্তমানে এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ২৬০ জন। শিক্ষক ১০ জন। বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় ২০১৮ সালে সারা দেশে তিন হাজার নতুন স্কুল নির্মাণ প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হয় গোড়গ্রাম মডেল আইডিয়াল স্কুলটি। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে একটি চার তলাবিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করতে বলা হয়। এ জন্য প্রায় পৌণে তিন কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ভবনের কাজ শেষ করার জন্য ১৮ মাস সময় নির্ধারণ করে ২০১৯ সালের ২১ জুলাই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়া হয়। এরপর থেকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি কচ্ছপ গতিতে কাজ করলেও প্রায় চার বছরে ভবনের ৮০ ভাগ কাজ শেষ করে গত এক বছর হলো কাজ বন্ধ রেখেছে।

গোড়গ্রাম মডেল আইডিয়াল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম বলেন, ‘অনেক কষ্ট করে আমরা একটি ভবন পেয়েছিলাম। পাঁচ বছর আগে ভবনের কাজ শুরু হলেও গত এক বছর ধরে কাজ একদমই বন্ধ আছে। আমরা জানি না, কেন কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। অবকাঠামো সংকটের কারণে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে সমস্যা হচ্ছে।’

জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তনু কন্সট্রাকশনের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আরিফুল ইসলাম জানান, নির্মাণ সামগ্রী আনা নেওয়ার জন্য বিদ্যালয়ে যাওয়ার রাস্তাটি খুব সরু ছিল। তাছাড়া বৃষ্টি আর স্থানীয়দের অসহযোগিতার জন্য ভবন নির্মাণ করতে সময় বেশি লেগেছে। অল্প দিনের মধ্যে এই বিদ্যালয়ের অসমাপ্ত কাজ শেষ করবেন বলে জানান তিনি।

বগুড়া জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সঠিক সময়ে অর্থ পাচ্ছিলেন না। এই প্রকল্পের অর্থ ছাড়ের বিষয়টি অনেক খারাপ ছিল। তাছাড়া সেই সাথে ঠিকাদারেরও গাফিলতি ছিল। একারণেই ভবন নির্মাণে দেরি হয়েছে। এখন আর সমস্যা নেই। আগামী শনিবার থেকে বাঁকি অংশের কাজ শুরু হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS