শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : শেরপুরে আরকেবি নামে এক ইটভাটায় ডাকাতি হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক সংলগ্ন উপজেলার ঘোগা বটতলা ব্রিজ এলাকায় অবস্থিত ওই ইটভাটায় এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

এসময় সংঘবদ্ধ ডাকাতদলের সশস্ত্র সদস্যরা নৈশ প্রহরীকে মারধর ও বেঁধে রেখে ইটভাটার অফিস কক্ষে থাকা ক্যাশবাক্সের তালা ভেঙে পাঁচ লাখ টাকা, দুইটি মোবাইল ফোন, সিসি ক্যামেরার যন্ত্রাংশ, নিজস্ব পাওয়ার হাউজে থাকা একটি ট্রান্সফরমার নিয়ে গেছে।

এদিকে ডাকাতদলের বেধড়ক মারপিটে আহত দুই নৈশপ্রহরীর মধ্যে গুরুতর আহত আব্দুস সবুরকে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আর বিমল চন্দ্র নামের আরেকজন স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।

ইটভাটার মালিক রেজাউল করিম বাবলু বলেন, প্রতিদিনের মত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে ইটভাটায় ব্যবসায়িক কার্যক্রম শেষে শহরের বাসায় ফেরেন। পরদিন সকালে শ্রমিকরা ইটভাটায় কাজ করতে এলে নৈশপ্রহরীদের হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দেখতে পেয়ে ঘটনাটি জানায়

এরপর দ্রুত সেখানে গিয়ে আহতদের উদ্ধারসহ ডাকাতির বিষয়টি জানতে পারি। তিনি আরও জানান, পনের থেকে কুড়ি জনের সশস্ত্র একদল ডাকাত তার ইটভাটায় হানা দেয়। প্রথমে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দুইজনকে বেঁধে ফেলে। এরপর তাদের বেধরক মারধর করে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।

এরপর অফিস কক্ষে ঢুকে ক্যাশবাক্সের তালা ভেঙে পাঁচ লাখ টাকা ও রাউটারসহ সিসি ক্যামেরার যন্ত্রাংশ লুট করে নেয়। পাশাপাশি ইট-ভাটার নিজস্ব পাওয়ার হাউজে ঢুকে আড়াইশ’ কেবি ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি ট্রান্সফরমার খুলে ট্রাকে তুলে নিয়ে যায় ডাকাতদলের সদস্যরা। সবমিলিয়ে নগদসহ কুড়ি লাখ টাকার মতো মালামাল ডাকাতরা লুটে নিয়ে গেছে বলে দাবি করেন তিনি।

শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, ডাকাতির ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তকরণ এবং খোয়া যাওয়া মালামাল উদ্ধারে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই এই ঘটনার রহস্য উন্মোচিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়া উক্ত ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।