সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি : শীতের শুরুতেই কুমড়ো বড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন বগুড়া সারিয়াকান্দির সাহাপাড়ার মানুষেরা। এবছর সাধারণ মানের কুমড়ো বড়ি প্রতি কেজি ২শ’ থেকে আড়াইশ’ টাকা এবং ভালো মানের বড়ি সাড়ে ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। গত মৌসুমে এ এলাকায় প্রায় ১৪ লাখ টাকার কুমড়ো বড়ি বেচাকেনা হয়। সাহাপাড়ার কুমড়ো বড়ি দেশ-বিদেশে স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে থাকেন এই অঞ্চলের মানুষ।
কাঠফাঁটা রোদ এবং অসহনীয় গরম পেরিয়ে সারিয়াকান্দিতে এখন শীতের আমেজ বিরাজ করছে। কয়েকদিন ধরেই রাত থেকে শুরু করে সকাল পর্যন্ত কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ বিরাজ করছে। আর শীতে সারিয়াকান্দিসহ এই অঞ্চলের মানুষের রান্নায় অন্যতম মুখরোচক খাবার হলো কুমড়ো বড়ি। শীতের শুরুতেই তাই এ উপজেলার কুমড়ো বড়ি তৈরির কারিগররা শুরু করেছেন বড়ি তৈরির কাজ।
সারা উপজেলাতেই কুমড়ো বড়ি তৈরি হলেও উপজেলার পৌর এলাকার সাহাপাড়া গ্রাম বেশকয়েক বছর ধরেই কুমড়ো বড়ি তৈরির জন্য বেশ প্রসিদ্ধ। সাধারণত নারীরা এ কাজ করে থাকেন। সাধারণত বাংলা সনের কার্তিক মাস থেকে ফাগুন মাস পর্যন্ত কুমড়ো বড়ির চাহিদা বেশি থাকে। তাই এ বছরও আগাম অক্টোবর মাস থেকে বড়ি তৈরি শুরু হয়েছে, যা চলবে আগামী মার্চ পর্যন্ত।
কুমড়ো বড়ি তৈরির অন্যতম উপাদান হলো মাসকলাইয়ের ডাল। গত বছর মাসকালাই ডাল প্রতি কেজি ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়। তবে এবছর ডালটি ১৪০-১৪৫ টাকা কেজি কিনতে হচ্ছে। গত বছর কুমড়ো বড়ি মানভেদে প্রতি কেজি ১৫০-৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়, আর এবছর ২০০-৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
গীতা রাণী বলেন, আমাদের সাহাপাড়া গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের বেশিরভাগ মানুষেরই জমিজমা নেই। শীত মৌসুমে গ্রামের লোকজন সংসারের অন্যান্য কাজের পাশাপাশি এই কুমড়ো বড়ি তৈরি করে ভালোই লাভবান হন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।