ভিডিও

বগুড়ার ধুনটে সবজি চাষে কৃষকপ্রিয় হয়ে উঠছে সেক্স ফেরোমন ফাঁদ

প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২৪, ১০:৪৩ রাত
আপডেট: অক্টোবর ২০, ২০২৪, ১০:৪৩ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার ধুনট উপজেলায় শীতকালীন সবজি ক্ষেতে কীটপতঙ্গ দমনে কৃষকপ্রিয় হয়ে উঠেছে সেক্স ফেরোমন ফাঁদ পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে বিষমুক্ত সবজি চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। সবজি ক্ষেতে একদিকে কমছে কীটনাশকের ব্যবহার, অন্যদিকে দিকে উৎপাদন হচ্ছে স্বাস্থ্যসম্মত সবজি। খরচও কম, ফলে দিন দিন কৃষকের কাছে প্রিয় হয়ে উঠছে সেক্স ফেরোমন ফাঁদ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আগে কৃষকেরা পোকা দমনে জমিতে কীটনাশক ব্যবহার করতেন। এতে তাদের খরচ বেশি হতো। পাশাপাশি সবজিতে বিষ ঢুকত, যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ফলনও তুলনামূলক কম হতো। কিন্তু কয়েক বছর আগে কৃষি বিভাগের উদ্ভাবিত এ পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে ফসল বিষমুক্ত হচ্ছে, কৃষকেরাও লাভবান হচ্ছেন।

সরেজমিন দেখা যায়, এ উপজেলার ৩৬ হাজার ৩২৫ জন কৃষক ১ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজির আবাদ করছেন। গত বছরে চেয়ে এবছর উপজেলায় ৩০ হেক্টর বেশি জমিতে শাক-সবজির আবাদ হয়েছে। সবজির ক্ষেতগুলোতে বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনে বসানো হয়েছে প্লাস্টিকের কৌটায় ফেরোমন ফাঁদ (ট্র্যাপ পদ্ধতি)। ঝুলানো এসব ফাঁদের কৌটায় কম খরচে মেশানো হয় বিভিন্ন জাতের ক্ষতিকর স্ত্রী পোকার ঘ্রান সমৃদ্ধ ঔষধ। এতে ছুটে এসে ফাঁদের পানিতে পড়ে মারা পড়ছে ক্ষতিকর পুরুষ পোকা।

এ পদ্ধতিতে ফসলের জন্য ক্ষতিকর পোকা দমন হওয়ায়, বাড়তি খরচ করে কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয় না কৃষকদের। ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহারে আশাব্যঞ্জক ফল পাওয়ায় পটল, বেগুন, শসা, করলা, চিচিংগা, বরবটি, চালকুমড়া, মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি বিষমুক্তভাবে উৎপাদনে ব্যবহার হচ্ছে এই ফাঁদ।

উপজেলার নসরৎপুর গ্রামের কৃষক তারিকুল ইসলাম জানান, সবজি চাষে এ পদ্ধতি ব্যবহার করে উপকৃত হয়েছেন। শুধু তিনি নন, এখানকার বেশিরভাগ কৃষক বেগুন, করলা, শসা ও ফসলি জমিতে কীটনাশকের পরিবর্তে এই পদ্ধতি ব্যবহার করছেন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নুরুন নাহার বলেন, বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনে সেক্স ফেরোমন ফাঁদসহ জৈব বালাইনাশক বিভিন্ন পদ্ধতি কৃষকের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহারে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। কৃষকরা এই পদ্ধতি ব্যবহারে সুফল পাচ্ছেন।

স্বাস্থ্যসম্মত, পরিবেশবান্ধব, উৎপাদন খরচ কম হওয়াসহ নানাবিধ সুবিধার কারণে এসব পদ্ধতি ব্যবহারে আগ্রহী হচ্ছেন। আগামীতে এ পদ্ধতির ব্যবহার বৃদ্ধিতে কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS