ভিডিও

জয়পুরহাটের কালাইয়ে হোটেল ঘর দখল করে ইউনিয়ন বিএনপি কার্যালয় স্থাপনের অভিযোগ

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২৪, ০৬:০৮ বিকাল
আপডেট: অক্টোবর ২৩, ২০২৪, ০৬:০৮ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি : জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়ন পরিষদসংলগ্ন বাজারের মধ্যে খাবার হোটেলের ঘর দখল করে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কার্যালয় স্থাপনের অভিযোগ উঠেছে। সেখানে দলীয় সাইনবোর্ড টাঙিয়েছেন দলের নেতাকর্মীরা।

এ ঘটনায় ওই হোটেল মালিক রেজাউল করিম তালুকদার মাত্রাই ইউনিয়ন বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলামসহ দুই জনের বিরুদ্ধে থানাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের দাবি, দখল নয়, ১৪ বছর আগে এই জায়গায় বিএনপি’র দলীয় কার্যালয় ছিল ৫ আগস্টের পর তা আমরা ফেরত নিয়েছি।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রেজাউল করিম তালুকদার মাত্রাই ইউনিয়ন পরিষদের পশ্চিম পাশে টিনের ছাউনি একটি ঘরে খাবার হোটেলের ব্যবসা করতেন। চলমান পরিস্থিতিতে গত ১৬ সেপ্টেম্বর মাত্রাই ইউনিয়ন বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম ও সাজ্জাদুল ইসলাম হোটেলে এসে রেজাউল করিম তালুকদারের কাছে চাঁদা দাবি করেন। তিনি অস্বীকৃতি জানান।

এরপর জাহিদুল ইসলাম তাকে হোটেল থেকে বের করে দেন এবং তালা ঝুলিয়ে দেন। বিএনপি নেতারা রেফ্রিজারেটর, চেয়ার, টেবিল ও ফ্যানসহ আনুমানিক দেড় লাখ টাকার মালামালসহ হোটেল জবর-দখল করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়।

মঙ্গলবার সকালে মাত্রাই বাজারে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আজ যে জায়গায় হোটেল ঘর আছে, ১৪ বছর আগে এই জায়গায় বিএনপি’র দলীয় কার্যালয় ছিল। তখন একই কৌশলে আওয়ামী লীগের লোকজন জায়গাটি দখলে নিয়ে রেজাউলকে মাসিক চুক্তিতে ভাড়া দিয়েছিলেন। হোটেলটি বেশ কয়েক মাস ধরে বন্ধ আছে। ৫ আগস্টের পর বিএনপি নেতাকর্মীরা হোটেল দখলে নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সাইনবোর্ড টাঙিয়েছেন।

হোটেল মালিক রেজাউল করিম তালুকদার বলেন, আমি বয়স্ক মানুষ, কোন দলের সাথে যুক্ত না। নিয়মিত হাটের খাজনা দিয়ে ওই জায়গাতে হোটেল ব্যবসা করি। কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর যেই হোটেল খুলেছি, তখন জাহিদুলসহ অন্যরা এসে আমার হোটেল জবর-দখল করেছেন। তারা হোটেলের সামনে বিএনপি দলীয় কার্যালয়ের সাইনবোর্ড টাঙিয়েছেন। আমি আমার হোটেল ফেরত চাই।

বিএনপি নেতা জাহিদুল ইসলাম বলেন, চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ সত্য না। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার আগে হোটেলের জায়গাটিতে বিএনপি দলীয় কার্যালয় ছিল। সেই সময় আওয়ামী লীগের লোকজন এই জায়গা দখল করেন।

পরে তার কাছ থেকে টাকা নিয়ে এখানে হোটেল করে দেন। তাছাড়া অনেক দিন ধরেই হোটেলটি বন্ধ রয়েছে। এই জায়গাতে আবার দলীয় কার্যালয় করার জন্য হোটেলের মালিককে তার সব আসবাবপত্র সরিয়ে নিতে বলা হয়েছিল। তিনি সরিয়েও নিয়েছেন। পরে জায়গাটিতে সাইনবোর্ড টাঙিয়েছি। কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS