ভিডিও

নওগাঁয় ফুলকপি কৃষকদের প্রাপ্ত মূল্যের চেয়ে দ্বিগুণ মূল্যে ক্রয় করতে হচ্ছে ভোক্তাদের

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩০, ২০২৪, ০৬:২৯ বিকাল
আপডেট: অক্টোবর ৩০, ২০২৪, ০৬:২৯ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর বাজারগুলোতে শীতকালীন জনপ্রিয় ও সুস্বাদু সবজি ফুলকপি কৃষকদের প্রাপ্ত মূল্যের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ মূল্যে ক্রয় করতে হচ্ছে সাধারণ ভোক্তাদের। শীতকাল এলেই ফুলকপি প্রতিটি পরিবারেই যেন অপরিহার্য হয়ে ওঠে।

ফুলকপি, আলু, কুমড়া বড়ি ও মাছের ঝোল মানুষের রসনাকে বাড়িয়ে তোলে। নওগাঁ জেলা দরে এবং সদর উপজেলার হাপানিয়া ইউনিয়নের ডাক্তারের বাড়ির মোড়ে প্রতিদিন ভোর থেকে বসে ফুলকপি বিক্রির পাইকারি বাজার। বিভিন্ন গ্রাম থেকে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফুলকপি নিয়ে আসেন এবং পাইকারদের কাছে বিক্রি করেন।

পাইকাররা কৃষকদের কাছে থেকে ছোট ফুলকপি প্রতি কেজি ৩০ টাকা, মাঝারি আকারের ফুলকপি ৪০ টাকা কেজি এবং বড় আকারের ফুলকপি ৫০ টাকা কেজি দরে ক্রয় করেন। খুচরা বাজারে ব্যবসায়ীরা সাধারণ ক্রেতাদের কাছে ফুলকপি কেজি হিসেবে বিক্রি না করে পিস হিসেবে বিক্রি করে থাকেন।

ছোট কপি প্রতিটি কমপক্ষে ২০ টাকায়, মাঝারি আকারের ফুলকপি প্রতিটি ৩০ টাকা এবং বড় আকারের ফুলকপি প্রতিটি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করছেন। ছোট আকারের ফুলকপি ৪টি'তে এক কেজি হয়। সেই হিসেবে ভোক্তা পর্যায়ে এই চারটি কপি'র বিক্রি মূল্য ৮০ টাকা। অথচ কৃষক এই চারটি কপি'র মূল্য পেয়েছেন ৩০ টাকা। মাঝারি আকারের ফুলকপি এক কেজি'তে ধরে ৩টি। খুচরা বাজারে ভোক্তা পর্যায়ে এই ৩টি কপি'র মূল্য ৯০ টাকা। অথচ কৃষক এই কপি'র মূল্য পেয়েছেন ৪০ টাকা।

অপরদিকে বর্তমান বাজারে বড় কপি কেজি'তে ধরে ২টি। খুচরা ব্যবসায়ীরা এই ২টি কপি ক্রয় করেন ৫০ টাকায়। ভোক্তা পর্যায়ে এই দু'টি ফুলকপি বিক্রি করছেন কমপক্ষে ১শ’ টাকায়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, বিভিন্ন স্থানে কৃষকরা যাতে সরাসরি তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে পারেন এমন বাজার স্থাপন করা যায় তাহলে ভালো হয়।

এসব বাজারে কৃষকদের কাছে থেকে কেবলমাত্র সাধারণ ভোক্তারাই পণ্য কিনতে পারবেন, কোন ব্যবসায়ীরা নয়। এই ব্যবস্থা চালু করা গেলে একদিকে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাবেন অন্যদিকে সাধারণ ভোক্তারা কম সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য কিনতে পারবেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলায় ২৫০ হেক্টর জমিতে ফুলকপির আবাদ হয়েছে যা থেকে ৬ হাজার ৭৫০ মেট্রিক টন ফুলকপি উৎপাদিত হবে বলে প্রত্যাশা কৃষি বিভাগের।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS