জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি : সরকারি খাস পুকুর দখল নিয়ে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে উভয় পক্ষের সাত জন আহত হয়েছে। আহতদের জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকাল ন’টার দিকে জয়পুরহাট সদর উপজেলার পশ্চিম পেঁচুলিয়া কোঁচ পুকুরে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও গ্রামবাসী জানায়, মৎস্য সমিতির নামে লিজ নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে দুই একর আয়তনের কোঁচপুকুরে মাছ চাষ করছেন পেঁচুলিয়া গ্রামের রাজেন বর্মনসহ তাদের লোকজন। পুকুরের আয় থেকে তারা সার্বজনিন দুর্গা ও কালি মন্দিরে পূজা সম্পন্ন করে আসছেন। আজ শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকাল ন’টার দিকে জিতারপুর গ্রামের মওলা, রব্বানী ও ছালামের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন পুকুরটি তাদের দাবি করে মাছ ছেড়ে দিয়ে পুকুর পাড়ের বাঁশ কাটতে শুরু করে। এ সময় বাধা দিতে গেলে উভয় পক্ষের সংঘর্ষ বাধে।
সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ পেঁচুলিয়া গ্রামের ৬ জন এবং জিতারপুর গ্রামের একজন আহত হয়। আহতরা হলেন পেঁচুলিয়া গ্রামের মৃত ললিত চন্দ্রের ছেলে রাজেন বর্মন (৭৫), উত্তম চন্দ্রের স্ত্রী বিজলী রাণী (৪০) ও ছেলে মিঠুন চন্দ্র (২৬), রঞ্জিত চন্দ্রের স্ত্রী অর্চনা রাণী (৪৩), শংকর চন্দ্রের স্ত্রী পবিত্রা রাণী (৪৫) ও অজিত চন্দ্রের স্ত্রী ভারতী রাণী (৪৫) এবং জিতারপুর গ্রামের আব্দুস ছালাম (৫৫)।
পেঁচুলিয়া গ্রামের শুভ চন্দ্র জানান, মন্দিরের জন্য মৎস্য সমিতির নামে লিজ নিয়ে তারা দীর্ঘদিন থেকে ওই পুকুরে মাছ চাষ করছেন। কিন্তু শুক্রবার জিতারপুর গ্রামের মওলা ও রব্বানীর নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল পুকুরে জোরপূর্বক মাছ ছেড়ে পুকুরপাড় থেকে বাঁশ কাটতে থাকে। বাধা দিলে বাঁশের লাঠি ও কোদাল দিয়ে তারা মারপিট করে তাদের ৬জনকে আহত করে।
জিতারপুর গ্রামের আব্দুস ছালাম বলেন, ‘ওই পুকুরসহ পুকুরপাড়ের সাত বিঘা জমি আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। যা পেঁচুলিয়া গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন জোরপূর্বক দখল করে করে আছে। আমরা শুক্রবার দখল নিতে গেলে তারা বাধা দেয়। এতে সংঘর্ষ বাধে।
জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহেদ আল মামুন বলেন,‘পুকুরের দখল নিয়ে দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে মারামারি হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের সাতজন আহত হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। মামলা হলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।