ভিডিও

সয়াবিনের বিকল্প উৎসের সন্ধানে সূর্যমুখী চাষে আগ্রহী হচ্ছে পীরগঞ্জের কৃষক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৪, ০৮:১৮ রাত
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৪, ০৮:১৮ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি : সূর্যমুখী ফসল চাষের পর ওই ফসল ঘরে উঠতে অল্প কিছুদিন বাকি। তবে ফসলে ফুল দেখে সূর্যমুখীর হাসির মতো কৃষকের মুখে হাসি মিলেছে। সয়াবিনের বিকল্প উৎসের সন্ধান হিসেবে এবং অল্পসময়ে লাভজনক ফসল হিসেবে ইতোমধ্যে পীরগঞ্জ উপজেলার কৃষকদের মাঝে সূর্যমুখী চাষের আগ্রহ বেড়েছে।

৯০-১১০দিনের মধ্যে উত্তোলন, বাজারে উচ্চ মূল্যের লাভজনক ফসল হওয়ায় জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার কৃষকরা ২০২০ সালে সূর্যমুখী ফসল চাষে উৎসাহিত হয়েছিল। এতে উন্নতমানের তৈল থাকে ও বীজে লিনোলিক এসিড বিদ্যমান।

হৃদরোগীদের জন্য সূর্যমুখীর তেল খুবই উপকারী। এছাড়াও সূর্যমুখীর খৈল গরু ও মহিষের উৎকৃষ্টমানের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর বীজ ছাড়ানোর পর মাথাগুলো গরুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যায়। গাছ ও পুষ্পস্তবক জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

পীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাদেকুজ্জামান সরকার জানান, কৃষিবান্ধব সরকারের প্রণোদনা কর্মসূচি ও কৃষক উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে চলমান মওসুমে পীরগঞ্জের ১৫টি ইউনিয়নে প্রায় ১শ’ একর জমিতে ২৫০ জন কৃষক সূর্যমুখী ফসলের চাষ করেছে।

২০২০ সালের আগে এই উপজেলায় সূর্যমুখী ফসলের চাষ হয়নি। এ ধরণের কর্মসূচি অব্যাহত রাখার মাধ্যমে একদিকে যেমন উৎকৃষ্ট মানের ভোজ্যতেল উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

রংপুর জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন জানান, সূর্যমুখী একটি উচ্চমূল্যের বাণিজ্যিক তেলজাতীয় ফসল, বিধায় কৃষিকে বাণিজ্যিকভাবে লাভবান ও শস্য বৈচিত্র্যকরণ বৃদ্ধিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রংপুর জেলা উক্ত ফসল চাষাবাদে কৃষকদের উৎসাহিত করে যাচ্ছে। চলতি মওসুমে মেট্রোসহ জেলার ৮টি উপজেলায় সূর্যমুখী চাষে ৫০ হেক্টর জমির লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও ৪৩ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর আবাদ হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এতে ১১০ মেট্রিকটন উৎপাদন হবে।

রংপুর অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. ওবায়দুর রহমান মন্ডল জানান, সরকার প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ ভোজ্যতেল আমদানি করে থাকে। বর্তমানে দেশে চাষাপযোগী সূর্যমুখী ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে উৎকৃষ্টমানের ভোজ্যতেল উৎপাদনের সুযোগ তৈরি হয়েছে। ফলে দেশের প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।

স্থানীয় এমপি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী জানান, কৃষি প্রমোদণা ও পুর্ণবাসন কার্যক্রমের আওতায় এ মওসুমে উপজেলায় ১৮ হাজার ২শ’ জন কৃষককে প্রণোদনার আওতায় ধান, গম, ভুট্টা, সরিষাসহ বিভিন্ন ফসলের বীজ ও সার বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়েছে।

এর ফলে পীরগঞ্জে পানি সাশ্রয়ী ফসল চাষে সম্প্রসারণ হবে। আশা করছি এতে একদিকে যেমন পানি সাশ্রয়ী পরিবেশবান্ধব ফসলের চাষাবাদ বৃদ্ধি পাবে অন্যদিকে ওই সব ফসল বাজারজাতে কৃষক আর্থিকভাবে লাভবান হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS