ভিডিও

মাঠে মাঠে সূর্যমুখীর সবুজ গাছে হলুদ হাসি

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৪, ০৯:৪৯ রাত
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৪, ০৯:৪৯ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে সূর্যমুখি চাষ। গতবছর ভাল ফলন পাওয়ায় চলতি রবি মৌসুমে বিভিন্ন ডাল, সবজির সাথে তেলবীজ জাতীয় সূর্যমুখির চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকের। ডিসেম্বর মাসে লাগানো সুর্যমুখি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মাঠজুড়ে এখন সবুজ গাছে হলুদ হাসি ছড়াচ্ছে। মাঠজুড়ে এর হলদে আভায় বিমোহিত দর্শনার্থীরাও।

ধান, ভুট্টা, বাদাম, আলু ও টমেটোর মতো অর্থকরী ফসল হিসেবে সরকার সূর্যমুখি চাষে উৎসাহ দিচ্ছেন। আর তাতেই প্রচলিত ফসলের পাশাপাশি বিকল্প ফসল চাষে ঝুঁকছেন কৃষকেরা। সৌন্দর্যে ভরা এই তৈলবীজ জাতীয় ফসলের রয়েছে বাণিজ্যের অপার সম্ভাবনা।

তাই কৃষি বিভাগের প্রণোদণায় সূর্যমুখি চাষ বাড়িয়েছেন চাষিরা। উপজেলার কাটাবাড়ি, রাজাহার, শিবপুুর শালমারা ও পৌরসভার কিছু এলাকাসহ এবার বেশ কিছু জমিতে চাষ হয়েছে সূর্যমুখির।

উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, এলাকায় সূর্যমুখির চাষাবাদের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। অন্য ফসলের তুলনায় এটা খুব লাভজনক। এ বছর কৃষি পুনর্বাসন প্রণোদনার আওতায় উপজেলায় ৯০ জন কৃষককে বিনামূল্যে সূর্যমুখির বীজ এবং সার বিতরণ করা হয়। আর ১২.৫ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখি চাষ হয়েছে। ফলনও হয়েছে বেশ ভালো।

উপজেলার কাটাবাড়ি ইউনিয়নের বাগদা এলাকার কৃষক মো. মনসুর আলী জানান, তিনি চলতি বছর ৩ বিঘা জমিতে সূর্যমুখি ফুলের চাষ করছেন। এবারই প্রথম কৃষি বিভাগের সহায়তায় সূর্যমুখি ফুল চাষ করছেন। ইতোমধ্যে ৯০ শতাংশ গাছে ফুল ফুটেছে। কৃষি বিভাগের সাথে কথা বলে বীজ বা তেল যেটি বিক্রি করলে লাভবান হবেন, সেটিই বিক্রি করবেন। এবার ফলন ভালো হলে প্রতিবছরই সূর্যমুখি ফুল চাষ করবেন বলেও জানান তিনি।

উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিলাস কুমার ভট্টাচার্য্য জানান, ডিসেম্বর থেকে কৃষকরা জমিতে বীজ রোপণ শুরু করেন। রোপণের দুইমাস পর গাছে ফুল ফোটে। এরপর ফুল পরিপক্ক হতে সময় লাগে অন্তত ১৫দিন। আগামী এপ্রিল মাস থেকেই কৃষকরা তাদের ফসল ঘরে তুলতে শুরু করবেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ রেজা-ই-মাহমুদ বলেন, কৃষকদের সূর্যমুখি ফুল চাষে উদ্বুদ্ধ করতে প্রণোদনা হিসেবে সার ও বীজ দেয়া হয়েছে। বীজ রোপণের পর থেকে আমরা নিয়মিত তদারকিও করছি। আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার ফলনও ভালো হবে। বীজ আহরণ এবং তেল উৎপাদন এ বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS