ভিডিও

চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক ব্যক্তিকে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে গ্রেফতার ৩

প্রকাশিত: মার্চ ১৯, ২০২৪, ১১:০৩ রাত
আপডেট: মার্চ ১৯, ২০২৪, ১১:০৩ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি : চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের বিশ্বরোড মোড় হতে  নিয়োগ বাণিজ্যের  ফাঁদে ফেলে পরিচয় হওয়া সাদিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে প্রাইভেটকারে তুলে অপহরণ, অপহরণের পর সাথে থাকা ৫ লাখ টাকা কেড়ে নেয়া ও জিম্মি বানিয়ে নির্যাতন করে আরও ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে দায়ের মামলায় জালিয়াতি চক্রের মূলহোতাসহ ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

জব্দ হয়েছে নিয়োগ বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র, অপহরণ ও চক্রের কাজে ব্যবহৃত ওই কার ও ৭টি মোবাইল ফোন। গ্রেফতাররা হলো- চক্রের হোতা ও একটি বাহিনী হতে ২০১৫ সালে অব্যাহতিপ্রাপ্ত পাবনার সুজানগর উপজেলার ভবানীপুর মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল বারেক খন্দকারের ছেলে মোতালেব খন্দকার (৪২), চক্রকে অবৈধ সিমকার্ড সরবরাহকারী রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার মৃত মোসলেম সরকারের ছেলে আলতাফ হোসেন (৫৬) ও দুর্গাপুর থানার গোপীনাথপুর পশ্চিমপাড়া খাসখামার গ্রামের মৃত আমান আলীর ছেলে মোজাফফর হোসেন (২৫)।

তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে ওই তিনজনকে বিভিন্ন জেলা থেকে গ্রেফতার করে গত সোমবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায় থানায় আনা হয়। আজ মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) ও  চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায় ঘটনার বর্ণনা দেন। তিনি বলেন, চক্রটি প্রথমে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাসিন্দা সাদিকুলের কাছ থেকে নেয় এক লাখ টাকা।

পরে ২০২৩ সালের ২২ মার্চ দুপুরে সাদিকুলকে নিয়ে গাড়িতে রাজশাহী যাাবার পথে কেড়ে নেয় ৫ লাখ টাকা। তাকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে পরদিন ২৩ মার্চ তাকে রাজশাহীর বানেশ্বর বাজারে নিয়ে সেখানে কুরিয়ারের মাধ্যমে মুক্তিপণের ৪ লাখ টাকা আদায় করে ছেড়ে দেয়।

পরে সাদিকুল ২০২৩ সালের ২৬ এপ্রিল চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেন। মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ২০২৩ সালের ২ নভেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। কিন্তু আদালত তদন্ত প্রতিবেদনে সন্তুষ্ট না হয়ে ২০২৪ সালের ২ জানুয়ারি উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাকে দিয়ে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।

পুনরায় তদন্তকালে ঘটনার ব্যাপারে ওইসব তথ্য জানা যায়। গ্রেফতার হয় ওই ৩ জন। আলামত জব্দ হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও বলেন, ঘটনার তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে পুরো বিষয়টি জানা যাবে। ওই চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS