নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : জরাজীর্ণ ও ভাঙ্গাচুরা ভবন শিক্ষকের পদ শূন্য টয়লেটের দূরাবস্থা পানি সংকট সব মিলিয়ে নানা সমস্যায় জর্জড়িত হয়ে পড়েছে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার বিনোদনগর ইউনিয়নের ভোটারপাড়া আয়েশা খাতুন বালিকা দাখিল মাদ্রাসা।
ভূতড়ে পরিবেশ গড়ে উঠেছে ওই প্রতিষ্ঠানটিতে। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে নারী শিক্ষার প্রসারে ১৯৮৩ সালে স্থাপিত ওই প্রতিষ্ঠানটিতে তেমন উন্নয়নের কোন ছোঁয়া লাগেনি।
প্রতিষ্ঠানটিতে গিয়ে দেখা যায়, মাদ্র্রসার ভারপ্রাপ্ত সুপার দ্বীজেন্দ্রনাথ সরকার ভাঙ্গা এবং অগোছানো একটি কক্ষে দূর্বল চেয়ার টেবিলে বসে কাজ করছিলেন। টিন সেডের ওই মাদ্রাসা ঘুরে দেখা যায় ছোট ছোট শ্রেণিকক্ষ।
অনেক কক্ষের উপরের টিনের ছাউনি ভেঙে উল্টে আছে। বৃষ্টি হলেই সেগুলোতে পানি পড়ে। শ্রেণিকক্ষে নাই কোন ব্ল্যাকবোর্ডের ব্যবস্থা। নারী মাদ্রাসা হলেও সেখানে স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট নাই। নাই পানির তেমন ব্যবস্থা।
ভারপ্রাপ্ত সুপার জানান, মাদ্রাসার সুপার আকতারুজ্জামান ও সহ-সুপার জয়নাল আবেদিন প্রায় ৩ বছর পূর্বে চাকরি ছেড়ে যাবার পর ওই পদ ২টি এখন পর্যন্ত শূন্য আছে। মাদ্রাসায় কর্মচারীর সংখ্যা ঠিক থাকলেও এখন ১৮ জন শিক্ষকের মধ্যে আছে ৯জন।
মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আব্দুল রাজ্জাক মন্ডল জানান, প্রতিষ্ঠানটিতে উন্নয়নের জন্য সরকারি কোন অনুদান পাওয়া যায়নি। মেরামতের অভাবে ভবনের অন্যান্য ব্যবস্থাপনার অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে।
সরকারিভাবে একটি ভবন নির্মিত হলে প্রতিষ্ঠনটির সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেত এবং শিক্ষার পরিবেশ গড়ে উঠতো। তিনি বিষয়টির প্রতি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।