ভিডিও

রাজধানীতে দিনদুপুরে ব্যবসায়ীর ৭০ লাখ টাকা ডাকাতি

প্রকাশিত: মে ২৯, ২০২৪, ০৭:৫০ বিকাল
আপডেট: মে ২৯, ২০২৪, ০৭:৫০ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

তারা রাস্তায় ব্যবসায়ীদের টার্গেট করত। কেউ টাকা নিয়ে যাওয়ার সময় আগে থেকেই খবর নিয়ে তার পিছু নিত। এরপর সুযোগ বুঝে রাস্তায় একজন এসে ধাক্কা দিত। এভাবে তর্কে জড়ানোর সময় তাদেরই অন্য সদস্যরা সেখানে এসে একপর্যায়ে ব্যবসায়ীর কাছে থাকা টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যেত।

আজ বুধবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে (ডিবি) লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার মশিউর রহমান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। সম্প্রতি চট্টগ্রাম ও খুলনায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে ওই চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- খোকন দাস ওরফে বাইল্যা খোকন, রেজাউল করিম ও কামাল হোসেন। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে নগদ ৯ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

মশিউর রহমান বলেন, ‘গত ২৬ এপ্রিল পুরান ঢাকার কদমতলী খেজুরের গলি থেকে ৭০ লাখ টাকাসহ তাঁতী বাজারের উদ্দেশে পায়ে হেঁটে রওনা দেন মা বুলিয়ান অ্যান্ড সিলভার জুয়েলার্সের কর্মচারী মহিউদ্দিন। ইসলামপুরের নবনারায়ণ লেনের প্রবেশমুখে পৌঁছলে একজন তাকে ধাক্কা দিয়ে উল্টো অভিযোগ করে ধাক্কা দিলে কেন? এ সময় মহিউদ্দিন ক্ষমা চেয়ে চলে যেতে চাইলে আশপাশে ওত পেতে থাকা আরও সাত থেকে আট জন ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ তুলে তাকে কিল-ঘুষি মারতে থাকে। একপর্যায়ে তার চোখে আঙুল দিয়ে গুল লাগিয়ে দেয় এবং টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।’

 

ডিবি লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার বলেন, ‘এ ঘটনায় ২৭ এপ্রিল জুয়েলার্সের মালিক আকিদুল ইসলামের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে থানায় একটি ডাকাতি মামলা হয়। মামলার সূত্র ধরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ছায়া তদন্ত শুরু করে। একপর্যায়ে থানা-পুলিশ ও ডিবি পুলিশের তদন্তে ওই তিনজন শনাক্ত হয়।’

তিনি বলেন, ‘পুরাতন ঢাকার ওই এলাকাগুলোতে প্রতিদিন শতকোটি টাকার বৈধ লেনদেনের পাশাপাশি অনেকেই হুন্ডির টাকা লেনদেন করেন। ডাকাত চক্র ওত পেতে থাকে এই হুন্ডি ব্যবসায়ীদের টাকা ডাকাতি করার জন্য। হুন্ডিতে টাকা লেনদেন করা আইন স্বীকৃত নয়। সে কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা অধিকাংশ সময় বিষয়টি পুলিশ বা আদালতকে জানায়ও না।’

মশিউর রহমান বলেন, ‘বাইল্যা খোকন এই চক্রের মূল হোতা। সে পুরাতন ঢাকায় বসবাস করে। রেজাউল করিম এক সময় পুরাতন ঢাকাতেই ব্যবসা করত। খুলনা, বরিশাল, চাঁদপুর ও ময়মনসিংহ থেকে সমমনাদের ঢাকায় এনে টার্গেট করা ব্যক্তিকে নিরস্ত্র কায়দায় কিল-ঘুষিতে রক্তাক্ত করে চোখে গুল লাগিয়ে ডাকাতি করত তারা। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ডাকাতি এবং ছিনতাইবিষয়ক একাধিক মামলার সন্ধান পাওয়া গেছে।’



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS