ভিডিও

ঈশ্বরদীতে এক শিশুকে টুকরো টুকরো করে হত্যা

প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২৪, ১০:৩৭ রাত
আপডেট: জুন ২২, ২০২৪, ১০:৩৭ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার ঈশ্বরদীতে তপু হোসেন (১৪) নামে এক শিশুকে টুকরো টুকরো করে হত্যা করা হয়েছে। নিখোঁজের ৭ দিন পর কোরবানির মাংসের মত টুকরোগুলো পলিথিন ব্যাগে ভরিয়ে ট্রাঙ্কে রাখা মরদেহের গলিত অংশ উদ্ধার করা হয়েছে।

এই ব্যাপারে সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করে করা হয়েছে। আজ শনিবার (২২ জুন) রাত ৯ টা পর্যন্ত ট্রাঙ্ক ভর্তি মরদেহের টুকরো ঘটনাস্থল ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের পেছনে মশুরিয়াপাড়াস্থ অরণ্য ছাত্রাবাসের তিনতলার ৩০৫ নং কক্ষে পুলিশ পাহারায় পড়েছিল। নিহত তপু হোসেন ঈশ্বরদী সরকারি কলেজ সংলগ্ন খান মঞ্জিল এলাকার রিকশাচালক আবুল কাশেমের ছেলে।

নিহত তপুর বড় ভাই অপু বলেন, গত ১৫ জুন বেলা ১১ টার দিক থেকে তার ছোটভাই তপুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে ওইদিন রাত ১০ টার দিকে তপুর ফোন নম্বর থেকে জানানো হয়, আপনার ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। বিকাশে ৩০ হাজার টাকা না দিলে হত্যা করা হবে।

তখন খরচসহ ৭ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এরপর থেকেই তপুর ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। এর পরদিন থানায় গিয়ে আমার মা (মজিরণ বেগম) বাদি হয়ে নিখোঁজের জিডি করেন। আজ শনিবার (২২ জুন) পুলিশ মরদেহের খোঁজ পায়।

অপু আরও বলেন, স্থানীয়দের সঙ্গে পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বন্ধুদের দিয়ে বাড়ির পাশের অরণ্য ছাত্রাবাসের তিনতলার ওই কক্ষে নিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর মরদেহ টুকরো টুকরো করে ট্রাঙ্কে ভরিয়ে রেখে হত্যাকারীরা পালিয়ে যায়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নিহত তপু একই এলাকার কয়েকজন মাদকাসক্ত উঠতি বয়সী ছেলেদের সঙ্গে চলাফেরা করতো। স্থানীয় জনৈক হাসুর দোকানে বসে সব সময় আড্ডা দিত। সম্প্রতি তপুও মাদক সেবন শুরু করেছিল। ঈদের আগে মাদক সেবনকে কেন্দ্র করেই হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

ঈশ্বরদী থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, নিহত তপুর মা বাদি হয়ে থানায় গত ১৬ জুন একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এই জিডির সূত্র ধরেই তদন্ত করে সন্দেহজনক তিনজনকে আটক করা হয়।

আটককৃতদের বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, আটককৃতরাসহ নিহত তপু মাদক সেবনকারী ছিল। মাদক সেবনকে কেন্দ্র করেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পাবনা পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি পাওয়া) আকবর আলী মুন্সি বলেন, হত্যার রহস্য উদঘাটনের লক্ষে সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

অহেতুক যেন কাউকে হয়রানি না করা হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য থানা পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রকৃত হত্যাকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS