স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়া শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায় প্রাইভেট কারের মধ্যে হতে টাকা উদ্ধার করা নিয়ে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে টাকাগুলো উদ্ধার করা হলেও পরে তা বৈধ বলে জানতে পেরে ছেড়ে দেয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা সাতমাথায় যানজট নিরসনে কাজ করছিলেন। দুপুর একটার দিকে শিক্ষার্থীরা সন্দেহজনকভাবে একটি প্রাইভেট কার (ঢাকা-গ-৩৭-৫২৯০) থামিয়ে কারে থাকা দুই নারী ও গাড়ি চালককে তাদের গন্তব্য ও পরিচয় জানতে চান। কিন্তু তারা পরিচয় দিতে অস্বীকৃতি জানালে উপস্থিত ছাত্র-জনতা কারটিতে তল্লাশি করে একটি সাইড ব্যাগ পান। সবার উপস্থিতিতে ব্যাগে তল্লাশি করে বেশ কিছু টাকা পাওয়া যায়। পরে সেনা সদস্যদের ডেকে এনে এই টাকা ও কারসহ তাদেরকে সোপর্দ করা হয়।
এরপর সেনা সদস্যরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সেনা ক্যাম্পে নিয়ে যায় তাদের। পরে একজন সেনা কর্মকর্তা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারেন তাদের সাথে একজন পুরুষ সদস্য আছেন। এরপর সাইফুল ইসলাম নামে ওই পুরুষ সদস্যকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সাইফুল ইসলাম বলেন তিনি আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা। তিনি ফরিদপুরে কর্মরত আছেন। তার গ্রামের বাড়ি বগুড়ার বাঘোপাড়ায়। তিনি পরিবার নিয়ে কারযোগে ঢাকা থেকে বাঘোপাড়ায় ফিরছিলেন। তার ছোট ভাইয়ের বিয়ের জন্য তিনি টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। কিন্তু পথে তিনি শেরপুর রোডে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের সামনে একজনের সাথে দেখা করতে কার থেকে নেমে পড়েন। সেইসাথে পরিবারের সদস্যদের বাঘোপাড়ায় পাঠিয়ে দেন। কিন্তু পথিমধ্যে সাতমাথা থেকে কারটি আটক করে সেনাক্যাম্পে আনা হয়।
সেনা কমকর্তা বলেন, কারে পাওয়া ব্যাগে ১৩ লাখ টাকা ছিল। তবে টাকাগুলো বৈধ। সাইফুল ইসলাম তার ভাইয়ের বিয়ের খরচের জন্য টাকাগুলো ঢাকা থেকে বগুড়ায় বাঘোপাড়ায় নিজ বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছিলেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানান। যে কারণে পরে টাকাগুলো ফেরত দেয়াসহ তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।