ভিডিও

সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দীর চতুর্থ প্রয়াণ দিবস আজ

প্রকাশিত: মে ০৭, ২০২৪, ০২:৪৭ দুপুর
আপডেট: মে ০৭, ২০২৪, ০২:৪৭ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

বিনোদন ডেস্ক : বরেণ্য সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দীর চতুর্থ প্রয়াণ দিবস আজ। ২০১৯ সালের এই দিনে মারা যান তিনি। ১৯৫৩ সালের ১৯ নভেম্বর হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানার নন্দীপাড়ায় এক সংগীত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এই নন্দিত গায়ক।

সুবীর নন্দীর বাবা সুধাংশু নন্দী ছিলেন একজন চিকিৎসক ও সঙ্গীতপ্রেমী। তার মা পুতুল রানী গান গাইতেন। সঙ্গীতে হাতেখড়ি মায়ের কাছেই। তবে ভাই-বোনদের সঙ্গে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে তালিম নেন, ওস্তাদ বাবর আলী খানের কাছে। তৃতীয় শ্রেণিতে থাকা অবস্থায়ই তিনি গান করতেন। ১৯৬৭ সালে প্রথম সিলেট বেতারে গান করেন সুবীর নন্দী। সেই সময়ে তার গানের ওস্তাদ ছিলেন গুরু বাবর আলী খান। লোকগান শিখাতেন বিদিত লাল দাশ। প্রথম গান ছিল ‘যদি কেউ ধূপ জ্বেলে দেয়’, গীতিকার মোহাম্মদ মুজাক্কের এবং সুরকার ছিলেন ওস্তাদ মীর কাসেম। সুবীর নন্দীর গাওয়া কালজয়ী জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে আছে- ‘দিন যায় কথা থাকে’, ‘আমার এ দুটি চোখ পাথর তো নয়’, ‘পৃথিবীতে প্রেম বলে কিছু নেই’, ‘আমি বৃষ্টির কাছ থেকে কাঁদতে শিখেছি’, ‘হাজার মনের কাছে প্রশ্ন রেখে’, জীবনের গল্প এতো ছোট নয়’, ঐ রাত ডাকে ঐ চাঁদ ডাকে তুমি কোথায়’, ‘মনরে সুখ পাখি তোর হইলো না আপন’, ‘তুমি এমনই জাল পেতেছ সংসারে’, ‘বন্ধু হতে চেয়ে তোমার শত্রু বলে গণ্য হলাম’, ‘কতো যে তোমাকে বেসেছি ভালো’, ইত্যাদি।

সুবীর নন্দী তার কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পাঁচবার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ১৯৮৪ সালে শ্রেষ্ঠ পুরুষ কন্ঠশিল্পী ‘মহানায়ক’ ছবিতে, ১৯৮৬ সালে শ্রেষ্ঠ পুরুষ কন্ঠশিল্পী ‘শুভদা’ ছবিতে, ১৯৯৯ সালে শ্রেষ্ঠ পুরুষ কন্ঠশিল্পী ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ ছবিতে, ২০০৪ সালে শ্রেষ্ঠ পুরুষ কন্ঠশিল্পী ‘মেঘের পরে মেঘ’ ছবিতে, ২০১৫ সালে শ্রেষ্ঠ পুরুষ কন্ঠশিল্পী ‘মহুয়া সুন্দরী’ ছবিতে। শিল্পকলায় অবদানের জন্য ২০১৯ সালে পেয়েছেন ‘একুশে পদক’। এছাড়াও বাচসাস চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ আরো পেয়েছেন নানাধরণের পদক, ক্রেস্ট ও সম্মাননা। ২০১৯ সালে এই দিনে তিনি সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS