ভিডিও

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি দেশে ফার্মাসিস্ট গড়ে তুলতে অবদান  রাখছে

প্রকাশিত: মে ১৪, ২০২৪, ০৮:৩৭ রাত
আপডেট: মে ১৪, ২০২৪, ০৮:৩৭ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

দেশে বর্তমানে ৩৫০টিরও বেশি ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব  প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত ওষুধ দেশের চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৭০টি দেশে ওষুধ রফতানি হচ্ছে। এতে বিপুল পরিমাণে বিদেশী মুদ্রা যোগ হচ্ছে হাতয়ি অর্থনীতিতে। আর এ সবের মূলে দেশের মেধাবী ও পরিশ্রমী ছাত্ররা।  তারা সময়োপযোগী এই শিক্ষার মাধ্যমে ফার্মাসিস্ট হিসেবে তৈরি হয়ে এ শিল্পকে দেশে ও দেশের বাইরে সুনাম অর্জন করতে সহায়তা করছে। আর তারাই এসব ওষুধ উৎপাদনে, মাননিয়ন্ত্রণে ও বিপণনে ফার্মাসিস্টদের ভূমিকা রাখছে। উল্লেখ্য যে, ঢাকা ইন্টারন্যশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) ফার্মেসি বিভাগ ফার্মাসিস্টদের গড়ে তুলতে অবদান রেখে চলছে।

 ঢাকা ইন্টারন্যশনাল ইউনিভার্সিটির এই অবদানে যিনি কাজ করে যাচ্ছেন তিনি হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান খ্যাতনামা অধ্যাপক ফরিদা বেগম। তিনি বর্তমানে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। তার দিকনিদের্শনায় ফার্মেসি বিভাগ আজ ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে সবচেয়ে বড় ও আদর্শ বিভাগ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। তার নেতৃত্বে দেশের বরেণ্য ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রবীণ ও নবীন শিক্ষকরা এই বিভাগে শিক্ষাদানের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। আর এ বিভাগে রয়েছে সময়োপযোগী ও অনুমোদিত পাঠ্যক্রম, আধুনিক ও পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ ল্যাবরেটরি এবং প্রয়োজনীয় ও আধুনিক পুস্তক সংবলিত গ্রন্থাগার। তাই এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিমধ্যে কৃতকার্য হওয়া ফার্মাসিস্টরা দেশের বিভিন্ন ওষুধ উৎপাদন প্রতিষ্ঠানে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন।

অধ্যাপক ফরিদা বেগম জানান, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ফার্মেসি বিভাগে রয়েছে সুসজ্জিত ও আধুনিক যন্ত্রপাতি সংবলিত ১১টি ল্যাবরেটরি। যেখানে আধুনিক, সৃজনশীল ও বিভিন্ন জটিল বিষয় নিয়ে ছাত্ররা সার্বক্ষণিক গবেষণা করে থাকে। এ সব গবেষণার ফলাফল, তথ্য-উপাত্ত দেশী-বিদেশী বিভিন্ন সাময়িকীতে ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে যা বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের কাছে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। আর এ ইউনিভার্সিটির বিশেষত্ব হলো,স্বল্প খরচে মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের মানসম্পন্ন শিক্ষাদান করা হয়।

উল্লেখ্য, দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরুর প্রথম দিকেই ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের খ্যাতিমান অধ্যাপক, মানবাধিকার বিজ্ঞানী ও বহু গ্রন্থের প্রণেতা ড.এ.বি.এম. মফিজুল ইসলাম পাটোয়ারী এ ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করেন।বর্তমানে ইউনিভার্সিটির ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ১২ হাজার। তার মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী এখানে অধ্যায়ন করছে। এ ইউনিভার্সিটিতে বর্তমানে ৩ শতাধিক  শিক্ষক পাঠ্যদানে নিয়োজিত আছেন। ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম। এর আগে তিনি বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক ড. গনেশ চন্দ্র সাহা। তিনি জানান, গুণগত, মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ, আর্দশ ও দেশপ্রেমিক মানব সম্পদ তৈরীতে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভাসিটি প্রশংসার দাবিদার। এ ইউনিভার্সিটিতে ট্রাইমিস্টার পদ্ধতিতে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। প্রতিটি সেমিস্টারে ছাত্রছাত্রীদের মিডটার্ম ও ফাইনাল পরীক্ষার জন্য কোর্স শিক্ষকরা পর্যাপ্ত কেসস্ট্যাডি, চলমান বিষয়ের উপর এ্যাসাইনমেন্ট, বাধ্যতামূলক ক্লাস পাটিসিপেশন, কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহারের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।

ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব স্ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি জানান, শিক্ষার মান বজায় রেখে এখানে ছাত্রছাত্রীদের পাঠদান দেওয়া হয় । এখানে অন্যান্য ভার্সিটি থেকে  টিউশন কম নেওয়া হয়। এর মানে এই নয় যে,শিক্ষার গুণগতমানের দিক থেকে আমরা ছাড় দিচ্ছি।  চাকরির প্রতিযোগীতার বাজারে শিক্ষার্থীরা  যাতে সফলতা অজর্ন করতে পারে, সে দিকটা স্মরণ করে তাদেরকে গড়ে তোলা হয়। ল্লেখ্য, ৪ বছরের বি ফার্ম অনার্সের কোর্স ফি নেওয়া হয় ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। বোর্ড অব স্ট্রাস্টিজের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. শহীদুল কাদির পাটোয়ারী জানান,‘জ্ঞানই শক্তি’ এই আদর্শ সামনে রেখে ১৯৯৫ সালে এ ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠিত হয়। সে আদর্শ বজায় রেখে আমরা শিক্ষাদান করে যাচ্ছি। 

ফার্মেসি বিভাগের ছাত্র   সেলিনা খন্দকার জানায়, ঢাকার বাড্ডাস্থ সাতারকুলে স্থায়ী ক্যাম্পাসে মনোরম পরিবেশে ক্লাশ করে আমরা বেশ আনন্দ উপভোগ করছি। আমাদের কোর্স অনেকটা ল্যাব ওরিয়েন্টটেড। এখানে কোন ল্যাবের সমস্যা নেই। লাইব্রেরিতেও রয়েছে প্রয়োজনয়ীয় বই। ছাত্রছাত্রীদের আবাসন সমস্যাও নেই। সর্বোপরী, অন্যান্য ইউনিভার্সিটির চেয়ে এখানে তুলনামূলক টিউশন ফি কম। এ বিভাগের ছাত্রী সাজেদুল ইসলাম জানান, এখানকার শিক্ষকরা দায়বদ্ধতা নিয়ে শিক্ষাদান করছেন। তাই আমরা আশাবাদী, চাকরি প্রতিযোগীতার বাজারে আমরা সফলকাম হতে পারবো।

এ ইউনিভার্সিটির অন্যান্য সুবিধা:

 লাইব্রেরী সুবিধাঃ এখানে সু-সজ্জিত ও সমৃদ্ধ লাইব্রেরী রয়েছে।  রয়েছে দেশী- বিদেশী পর্যাপ্ত বই ও জার্নাল। লাইব্রেরীতে শিক্ষার্থীরা সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পড়াশুনা করতে পারে। প্রয়োজনে তারা লাইব্রেরী থেকে বই বাসায় নিয়ে পড়াশুনা করতে পারে। তাঁর জন্য রয়েছে লাইব্রেরী কার্ড। ই-লাইব্রেরীর কার্যক্রম চলছে।

ইন্টারনেট ও ল্যাবরেটরি সুবিধাঃ এ ইউনিভার্সিটি সম্পুর্ণ ওয়াই-ফাই এর আওতাভুক্ত। ইন্টারনেট সুবিধা থাকায় শিক্ষার্থীরা গবেষণা কাজে বিশেষ সুবিধা ভোগ করে থাকেন। অত্র ইউনিভার্সিটিতে রয়েছে অত্যাধুনিক মানসম্পন্ন প্রায় ৩৩টি ল্যাবরেটরি।  

গবেষণা ও প্রকাশনা সেলঃ প্রতি বছর এ সেল জার্নাল প্রকাশ করে। প্রত্যেক শিক্ষককে বছরে কমপক্ষে ২টি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করতে হয়।

বৃত্তিঃ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ২০১০- এর আইন অনুযায়ী দরিদ্র, মেধাবী ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের বৃত্তি প্রদান করা হয়। 

ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এডুকেশন সেল (আইকিউএসি)ঃ‘হায়্যার এডুকেশন কোয়ালিটি এনহেন্সমেন্ট প্রজেক্ট (হেকেপ)’ ও ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী ৭টি বিভাগের সেলফ এ্যাসেসমেন্ট কমিটি ১ জুলাই ২০১৫ থেকে যথারীতি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব ঃ ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সকল শিক্ষার্থীদের ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্সকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বেসিক ইংলিশ, ফাংশনাল ইংলিশ, প্রিলিমিনারি ইংলিশ ও এ্যাডভান্সড্ ইংলিশ কোর্সও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

ছাত্রছাত্রীদের আবাসিক সুবিধা : অত্র ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসের সন্নিকটে রয়েছে ৯টি হোস্টেল রয়েছে। তারমধ্যে ছেলেদের জন্য রয়েছে ৭টি এবং মেয়েদের জন্য রয়েছে ২টি হোস্টেল।

পরিবহন সুবিধাঃ ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, কমকর্তা ও কর্মচারীদের ক্যাম্পাসে আসা যাওয়ার জন্য পরিবহন সুবিধা রয়েছে।। ঢাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে স্থায়ী ক্যাম্পাস  সাতারকুলে আসার জন্য বাস ও শাটল সার্ভিস রয়েছে।

হিউম্যান রাইটস এ্যাডভোকেসী সেল : সুবিধা বি ত, নিপিড়ীত ও অসহায় মানুষের আইনী সহায়তা প্রদানে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির হিউম্যান রাইটস এ্যাডভোকেসী সেল বদ্ধপরিকর।
ট্যোবাকো কন্ট্রোল এ্যান্ড রিসার্চ সেলঃ এ দেশের ধুমপান বিরোধী আন্দোলনে অত্র ইউনিভার্সিটি টি.সি.আর.সি বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে।

ডিবেটিং ক্লাবঃ এখানে রয়েছে ডিবেটিং ক্লাব : অত্র ইউনিভার্সিটির বির্তার্কিক দল ইউসিবি পাবলিক পার্লামেন্ট এটিএন বাংলা আয়োজিত ডিবেট প্রতিযোগিতায় দু’বার চ্যাম্পিয়ন ও একবার রানার্স আপ হয়।
কালচারাল ক্লাবঃ এখানকার কালচারাল ক্লাব বছরের বিভিন্ন সময় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মঞ্চ নাটক ও সামাজিক সচেতনতামূলক পথ নাটকের আয়োজন করে থাকে।

স্পোর্টস ক্লাবঃ ইউনিভার্সিটির স্পোর্টস ক্লাব বছরের বিভিন্ন সময় ফুটবল, ক্রিকেট, দাবা, ভলিবল, হ্যান্ডবল ও ইনডোর গেমসের আয়োজন করে থাকে। 

ক্যান্টিন সুবিধা : প্রতিটি ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষকদের সুবিধার্থে নিজস্ব রুচি সম্মত ক্যান্টিন রয়েছে। শিক্ষার্থীরা সার্বক্ষণিক এসব ক্যান্টিনের সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন। 

স্বাস্থ্য সেবা সুবিধাঃ শিক্ষার্থীদের সার্বক্ষণিক সেবাদানের জন্য রয়েছেন পূর্ণকালীন অভিজ্ঞ চিকিৎসক। 

বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ: 
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস,সাতারকুল, বাড্ডা, ঢাকা। 
মোবাইলঃ ০১৯৩৯৮৫১০৬০
E-mail: admission@diu.net.bd, Website: www.diu.ac



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS