ভিডিও শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪

শেখ মুজিব সব রাজনৈতিক দল, সংবাদপত্র ব্যান করেছিলেন : গয়েশ্বর

সংগৃহীত,শেখ মুজিব সব রাজনৈতিক দল, সংবাদপত্র ব্যান করেছিলেন : গয়েশ্বর

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, শেখ মুজিব দেশে সব রাজনৈতিক দল, সংবাদপত্র ব্যান করেছিলেন। জিয়াউর রহমান সব রাজনৈতিক দল, এমনকি তার রাজনৈতিক দলটাও (আওয়ামী লীগ) প্রকাশ্যে এনেছিলেন। আওয়ামী লীগের পুনর্জন্মদাতা হচ্ছেন শহীদ জিয়াউর রহমান। প্রথম জন্মদাতা হচ্ছেন মাওলানা ভাসানী আর দ্বিতীয় জন্মদাতা হচ্ছেন জিয়াউর রহমান।

রোববার (৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর ‘মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের প্রেক্ষাপটে আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার মধ্যদিয়ে ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করার ফল কখনো ভালো কিছু বয়ে আনে না। যাদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করব, তারা তো নিজেরাই নিজেদের নিষিদ্ধ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। একটা বিবৃতিতে দেওয়ার লোকও নেই, স্লোগান দেওয়ার লোকও নেই।

গয়েশ্বর বলেন, সর্বস্তরের মানুষ দেশ স্বাধীন করেছে। আর সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। বাহাত্তরে তারা যে সংবিধান লেখে তারা কী সেই সংবিধান মেনে চলেছে? চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, ব্যাংক ডাকাতি, নারী নির্বাচন— এসব কি সংবিধানে লেখা ছিল? তারাই বাহাত্তরের সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। তারাই সংবিধান লঙ্ঘন করে একদলীয় শাসন কায়েম করে। গত ৫২ বছরে আওয়ামী লীগের মতো সংবিধান লঙ্ঘনকারী দল বাংলাদেশে আর নেই। শেখ হাসিনা এতদিন আইন মানে নাই। এখন আইনকে ভয় পাচ্ছে। ভয় না পেলে দেশ ছেড়ে পালাত না।

আরও পড়ুন


জুলাই বিপ্লবের নেতৃত্বদানকারী ছাত্রনেতাদের স্যালুট জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশ গঠন করার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে যার যেটুকু করা উচিত, সেটুকু করলে দেশের মানুষ খুশি হবে। দেশের জনগণ নির্বাচন চায়, বিএনপিও নির্বাচন চায়। কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত শান্তি বয়ে আনে না। জিয়াউর রহমান সব নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। বাকশালী আওয়ামী লীগকেও রাজনীতি করার সুযোগ দেন। জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের সেকেন্ড নেতা। প্রথম নেতা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ৭ নভেম্বর নিয়ে আওয়ামী লীগ গত বিশ বছর ধরে যা প্রচার করেছে সেটা একটা ভয়াবহ ঘটনা। সে কথা দেশবাসী কোনো গুরুত্বেই নেয় নাই। তাদের হৃদয়ের মধ্যে ছিল আওয়ামী লীগ। শহীদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের এমন একজন নেতা, এমন একজন মনীষী যাকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র কল্পনা করা যায় না। শহীদ জিয়াকে যে মানে না সে আসলে ফ্যাসিবাদের দালাল। যারা তাকে মানে না তারা বাংলাদেশে থাকারই যোগ্য না।

অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহ সভাপতিত্ব করেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনসহ অন্যান্যরা।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

যত দ্রুত নির্বাচন তত দ্রুত দেশ স্থিতিশীল হবে: খন্দকার মোশাররফ

ক্যালিফোর্নিয়ায় ৭.০ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাত

উত্তরের শীতে বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

না ফেরার দেশে ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ গানের গীতিকার আবু জাফর

দিনাজপুরে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৪

অস্কারে যাওয়া গান নিয়ে যা বললেন ইমন