ভিডিও বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট ২০২৫

বড় হচ্ছে দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার

সিরাজগঞ্জে উৎপাদিত দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য যাচ্ছে সারা দেশে

সিরাজগঞ্জে উৎপাদিত দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য যাচ্ছে সারা দেশে

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : প্রায় দেড়শ বছরের পুরোনো সিরাজগঞ্জে গাভী পালন ও দুধ উৎপাদনের ইতিহাস। এখানে উৎপাদিত গাভীর দুধ যাচ্ছে সারা দেশে। যথাযথ উৎপাদন ও বিপণন পদ্ধতি না থাকায় জেলার উদ্যোক্তাদের তৈরি বিভিন্ন দুগ্ধজাত পণ্য দীর্ঘদিনেও বড় বাজার ধরতে পারেনি। বর্তমানে সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতায় অবস্থার পরিবর্তন ঘটছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় উদ্যোক্তারা।

খামারী সূত্রে জানা যায়, এখানকার কয়েকশ’ উদ্যোক্তা ঘি, চিজ বা পনির, ছানা,  হোয়ে মিল্ক, মিষ্টি, দইসহ বিভিন্ন ধরনের দুগ্ধজাত পণ্য তৈরির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। এসব ব্যবসায়ী বলছেন, দুগ্ধজাত পণ্যের বার্ষিক বাজারমূল্য শত কোটি টাকার উপরে। ফলে উদ্যোক্তারা পণ্য উৎপাদনে ইতোমধ্যে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়েছেন।

পাশাপাশি পরিবেশ সুরক্ষা ও মান উন্নত করার বিষয়েও জোর দিয়েছেন তারা। এক্ষেত্রে তাদের সহযোগিতা করছে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনসহ (পিকেএসএফ) আরও কিছু বেসরকারি  প্রতিষ্ঠান। ২০১৯ সাল থেকে বিশ্বব্যাংক ও পিকেএসএফ দেশে টেকসই ও পরিবেশসম্মত ব্যবসা উদ্যোগ বাড়াতে ১৩ কোটি মার্কিন ডলারের ‘সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্ট’ (এসইপি) ও স্মার্ট ডেইরি প্রকল্প হাতে নেয়। প্রকল্পটির অধিনে সারা দেশে ৬৪টি উপ প্রকল্প রয়েছে।

এর মধ্যে সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর ও উল্লাপাড়া উপজেলায় বর্তমানে স্মার্ট ডেইরি দুগ্ধজাত পণ্য উপ প্রকল্প চালু রয়েছে। এটি বাস্তবায়ন করছে বেসরকারি সংস্থা ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (এনডিপি)। জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্র জানা যায়, জেলায় ছোট, বড় ১১ হজার ৩৮২টি  দুগ্ধ খামার রয়েছে। জেলার শাহজাদপুর, উল্লাপাড়া ও রায়গঞ্জ উপজেলায় খামারের পাশাপাশি বেশির ভাগ বাড়িতেই দুধ উৎপাদনকারী একাধিক গাভী রয়েছে। এতে বছরে ৩০২ কোটি টাকার দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদন হয়।

গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই জেলায় ৭ লাখ ১৬ হাজার মেট্রিক টন দুধ উৎপাদিত হয়েছে। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ১৯ লাখ লিটার দুধ উৎপাদন হয়। মিল্ক ভিটা, প্রাণ, আড়ংসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দুগ্ধ সংগ্রহকারী ও প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠান খামারিদের কাছ থেকে দৈনিক প্রায় দেড় লাখ লিটার দুধ সংগ্রহ করে।

আরও পড়ুন

সিরাজগঞ্জ সাসটেইনেবল মাইক্রো এন্টারপ্রাইজ এন্ড রেসিলিয়েন্ট ট্যান্সফরমেশন (স্মাট) ডেইরি দুগ্ধজাত পণ্য উপ-প্রকল্পের ব্যবস্থাপক আব্দুল মালেক জানান, জেলার শাহজাদপুর ও রায়গঞ্জ উপজেলার এসইপি উপ-প্রকল্প শেষ হয়েছে।

বর্তমানে সিরাজগঞ্জের দুটি (শাহজাদপুর ও উল্লাপাড়া) এবং পাবনা জেলার বেড়া উপজেলায় স্মার্ট ডেইরি উপ-প্রকল্প চালু রয়েছে। এই উপ-প্রকল্পের অধীনে দেড় হাজার উদ্যোক্তা মোট ২২টি দুগ্ধজাত পণ্য নিয়ে কাজ করছেন। তারা প্রতি মাসে প্রায় ৩০ টন চিজ, ৩ হাজার কেজি ঘিসহ বিভিন্ন পণ্য তৈরি করছেন। এসব পণ্য বিক্রি করে বছরে তাদের আয় হয় প্রায় ১৫ কোটি টাকা।

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এ কেএম আনোয়ারুল হক বলেন, সরকারি-বেসরকারি সহায়তার ফলে খামারিরা কম খরচে দুগ্ধ উৎপাদন করতে পারছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন দুগ্ধজাত পণ্যের উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে। তবে গো-খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে খামারিদের দুধ উৎপাদনে খরচ বেশি হচ্ছে । এতে খামারিদের বিপাকে পরতে হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তায় কাদা ১০ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ

বগুড়ার নন্দীগ্রামে ট্রেড লাইসেন্স না থাকায় দোকানিকে জরিমানা

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের ঋষিঘাট থেকে বৈদড় পর্যন্ত রাস্তা ৩৭ বছরেরও সংস্কার হয়নি

নওগাঁর ধামইরহাটে প্রবাসী নারীর সাথে ভুয়া বিয়ের নাটক সাজিয়ে ৭ সাত  লাখ টাকা আত্মসাৎ

ফ্যাসিবাদের পতনের বর্ষপূর্তিতে বগুড়ায় বিএনপির বিশাল বিজয় র‌্যালি

বগুড়ার শাজাহানপুরে বর্ষার পানিতে তলিয়ে গেছে শ্যামলাকাতিপাড়া, দুর্ভোগে মানুষ