ভিডিও মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম

বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে টিকাদান কেন্দ্রে জলাতঙ্কের টিকা সংকট, অস্বচ্ছল রোগীরা বিপাকে

বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে টিকাদান কেন্দ্রে জলাতঙ্কের টিকা সংকট, অস্বচ্ছল রোগীরা বিপাকে

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ার জামিলনগর এলাকার এইসএসসি শিক্ষার্থী প্রেরণা শখ করে  দেশি বিড়াল পোষেন। গতকাল রোববার সেই বিড়ালের একটা বাচ্চার পা ভেঙ্গে গেলে তা ব্যান্ডেজ করতে গিয়ে আচমকা তার হাতে আঁচড় বসিয়ে দেয় বিড়ালটি। আজ সোমবার (১৩ অক্টোবর) বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে জলাতঙ্কের টিকা দিতে গেলে টিকাদান কেন্দ্রের কর্মরত নার্সরা জানান, হাসপাতালে টিকার সরবরাহ নেই। সেই সাথে সরবরাহ নেই সিরিঞ্জেরও। দুটোই বাইরে থেকে কিনতে হবে।

একটা ভায়েল টিকা ৪ জন মিলে কিনে আনলেই কেবল নার্সরা টিকা দিয়ে দিচ্ছেন। শুধু প্রেরণা নন, গত কয়েকদিন হলো কুকুর, বিড়াল, ইঁদুরসহ বিভিন্ন প্রাণির কামড় ও আঁচড়ের শিকার হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সবাইকে একই পরিস্থিতির মুখে পড়তে হচ্ছে। অনেক অস্বচ্ছল মানুষ অন্য উপজেলা থেকে শুধুমাত্র যাতায়াত ভাড়া নিয়ে এসে টিকার জন্য বাড়তি টাকা সাথে না থাকায় বাড়ি ফিরে গেছেন টিকা না দিয়েই। এদিকে চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ না পাওয়ায়  মাঝে মাঝে এই সংকট দেখা দেয় বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কতৃপক্ষ।

হাসপাতালের টিকাদান কেন্দ্রের নার্সরা জানান, গত ৪ দিন হলো টিকার সংকট চলছে। ফলে বাধ্য হয়ে রোগীদের বাইরে থেকে টিকা নিতে হচ্ছে। বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে রোগীদের বিনামূল্যে জলাতঙ্ক রোগের টিকা দেওয়া হয়। কুকুর,বিড়াল, বেজিসহ অন্যান্য প্রাণি কামড়ালে মোট তিনটি টিকা নিতে হয়। কামড়ানোর প্রথম দিন একটি, তৃতীয় দিন দ্বিতীয়টি এবং কামড়ানোর সপ্তম দিনে তৃতীয়টি।

এছাড়া আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ক্যাটাগরি ৩ এবং তীব্র ক্যাটাগরি ২ এর অনেক রোগীকে জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধক ইমিউনোগ্লোবুলিন নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। বর্তমানে বাইরে থেকে রোগীদের প্রতিটি টিকা ও সিরিঞ্জ কিনতে হচ্ছে ৫২০  টাকায়। আর্থিকভাবে স্বচ্ছল রোগীদের বাইরে থেকে টিকা কিনতে সমস্যা না হলেও দরিদ্র রোগীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

আরও পড়ুন

এ ব্যাপারে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আরএমও ডা. রাশেদুল ইসলাম রনি জানান, হাসপাতালের কুকুর ও অন্যান্য প্রাণির কামড় দেওয়া রোগীদের চিকিৎসার পাশাপাশি প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চিকিৎসাসেবা ও টিকা কার্যক্রম চালানো হয়। তবে মাঝে মাঝেই সরবরাহ না থাকার জন্য বিনামূল্যে টিকা দেয়া সম্ভব হয় না।

তিনি টিকার সংকটের কারণ হিসেবে বলেন, বগুড়ায় আশেপাশের কয়েক জেলা থেকে  জলাতঙ্কের টিকা নিতে নতুন পুরাতন মিলে প্রতিদিন ১৫০ থেকে ২০০ জন। এই বিপুল সংক্ষক রোগী এলেও সরকারীভাবে সরবরাহ পাওয়া যায় না। হাসপাতাল থেকে ৩ হাজার টিকার চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ মিলে ৫শ’। এই কারণেই মাঝে মাঝেই  টিকাদান কেন্দ্রে টিকা সংকট দেখা দেয়।  সরবরাহ এলে হয়তো কাল থেকেই বিনামূল্যে টিকা দেয়া সম্ভব হবে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বগুড়ায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ ঝুঁকি প্রশমন দিবস উদযাপন

ব্যভিচার গর্হিত অপরাধ

বগুড়ার শেরপুরে ওয়াই-ফাই পাসওয়ার্ডকে কেন্দ্র করে দুই শিক্ষকের মারামারি

সিরাজগঞ্জে ইছামতি নদীর ওপর ব্রিজ না থাকায় তিন উপজেলাবাসীর দুর্ভোগ

পাবনার বেড়ার ঐতিহ্যবাহী স্টেডিয়াম এখন পরিত্যক্ত জলাভূমি

নওগাঁয় আঞ্চলিক মহাসড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি