সিরাজগঞ্জে ইছামতি নদীর ওপর ব্রিজ না থাকায় তিন উপজেলাবাসীর দুর্ভোগ

কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সংসদীয় আসন সিরাজগঞ্জ-১ (কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদরের চার ইউনিয়ন) এর সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের একডালা গ্রামে ইছামতি নদীর উপর একটি ব্রিজের অভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে তিন উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ। স্বাধীনতার পর থেকে ব্রিজটি নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসলেও অজ্ঞাত কারণে এখনও তা নির্মিত হয়নি।
সরেজমিনে গতকাল রোববার বিকেলে একডালা গ্রামের ইছামতির ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, নদীর উপর অস্থায়ীভাবে কাঠ ও বাঁশ দিয়ে একটি সাঁকো নির্মাণ করেছে স্থানীয় এক ব্যক্তি। তিনি টাকার বিনিময়ে মানুষজন পারাপার করেন। সাঁকোটির উপর দিয়ে খালি রিক্সা, ভ্যান, মোটরসাইকেল পারাপার হলেও মালামাল নিয়ে কোনো পরিবহন যেতে পারে না।
সাঁকো নির্মাতা রফিক মিয়া বলেন, জন্মের পর থেকে এই ঘাট দিয়ে দেখছি হাজারো মানুষ চলাচল করে। বর্ষাকালে খেয়া নৌকায় পার হতে হয়। পাশের বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার খাটিয়ামারী, মথুরাপুর, কাশিয়াহাটা, বিষার দিয়ার, শালুয়াবাড়ীসহ আট থেকে দশ গ্রামের মানুষও পূর্বদিকে এই ঘাট ব্যবহার করে চলাচল করে। বিখ্যাত রতনকান্দি হাটে আসতে তাদের এই রাস্তা ব্যবহার করতে হয়। অথচ এখানে ব্রিজ নেই। তাই অস্থায়ী একটি সাঁকো তৈরি করে মানুষের যাতায়াতে সহযোগিতা করছি।
ধুনটের খাটিয়ামারী গ্রামের আব্দুর রহিম জানান, রতনকান্দি হাট, একডালা হাট, সিরাজগঞ্জ সদর ও কাজিপুরের সাথে যোগাযোগের জন্যে কয়েক গ্রামের মানুষ এ ঘাট ব্যবহার করেন। কিন্তু বর্ষাকালে ফসলাদি নিয়ে নদী পারাপারে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়।
আরও পড়ুনএছাড়া অনেক দুর্ঘটনাও ঘটে। একডালা গ্রামের পামছা শেখ এবং চাঁন মিয়া জানান, গ্রামে প্রায় দুইশ’ পরিবার ইছামতি নদীর পশ্চিমের চরে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। সেখানে এখন স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা গড়ে উঠেছে। ছাত্রছাত্রীরা প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হয়। একটি পাকা ব্রিজ এইখানে দরকার।
আজ সোমবার (১৩ অক্টোবর) সিরাজগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউর রহমান জানান, বিষয়টি আমরা জেনেছি। শীঘ্রই ওইস্থানে সমীক্ষা চালানো হবে। এরপর বরাদ্দ সাপেক্ষে দ্রুততার সাথে ঢালাই ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।
মন্তব্য করুন