ভিডিও শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২

বাংলাদেশে গুমের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে যা বললেন ভলকার তুর্ক

বাংলাদেশে গুমের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে যা বললেন ভলকার তুর্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক বলেছেন, বাংলাদেশের পূর্ববর্তী সরকারের সময় সংঘটিত গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হওয়া দেশটিতে জবাবদিহিতার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

এক বিবৃতিতে তুর্ক বলেন, এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো গুমের অভিযোগে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন। এটি ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের জন্য একটি তাৎপর্যপূর্ণ মুহূর্ত।

গত সপ্তাহে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) দুটি মামলায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ গঠন করেছে, যেগুলো টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেল ও জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল-এ সংঘটিত গুম ও নির্যাতনের অভিযোগের সঙ্গে সম্পর্কিত।

ট্রাইব্যুনাল এ ঘটনায় সাবেক ও বর্তমান সামরিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করেছে, যাদের মধ্যে সাবেক ডিরেক্টর-জেনারেল, ডিজিএফআই এবং র‌্যাবের সবেক কর্মকর্তারাও রয়েছেন।


এর আগেবাংলাদেশ সেনাবাহিনী ঘোষণা করে যে, তারা পূর্ববর্তী প্রশাসনের সময় সংঘটিত গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত এক ডজনেরও বেশি সেনা কর্মকর্তাকে আটক করেছে।

এ বিষয়ে তুর্ক বলেন, এটি অত্যন্ত জরুরি যে সেনাবাহিনী আটক ব্যক্তিদের দ্রুত একটি যোগ্য বেসামরিক আদালতে হাজির করে, যাতে ন্যায্য ও স্বচ্ছ বিচার প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা যায়।

তিনি আরও আহ্বান জানান, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনে গ্যারান্টিকৃত ন্যায়বিচার ও যথাযথ প্রক্রিয়ার সর্বোচ্চ মানদণ্ড মেনে চলা আবশ্যক। একইসঙ্গে ভুক্তভোগী ও সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

আরও পড়ুন

গত বছরের ছাত্রনেতৃত্বাধীন সহিংস বিক্ষোভের ঘটনায় জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং রিপোর্টে বলা হয়েছিল, মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ীদের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।

২০২৪ সালের আগস্টে বাংলাদেশ গুম প্রতিরোধ কনভেনশন অনুমোদন এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করার পর প্রথমবারের মতো দেশে গুম একটি আইনগতভাবে স্বীকৃত অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

তুর্ক আরও বলেন, অতীত ও বর্তমান প্রশাসনের সময়কার অনেক অপেক্ষমাণ মামলার দ্রুত ও ন্যায়সংগত নিষ্পত্তি করতে হবে। পাশাপাশি যারা অযৌক্তিকভাবে আটক আছেন তাদের দ্রুত মুক্তি দিতে হবে।

তিনি সতর্ক করেন যে, কোনো মামলাতেই মৃত্যুদণ্ডের পথ অনুসরণ করা উচিত নয়, অভিযোগ যতই গুরুতর হোক না কেন।

বিবৃতির শেষ অংশে জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধান বলেন, ব্যক্তিগত জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে কার্যকর পথ হলো সত্য উদঘাটন, ক্ষতিপূরণ, আরোগ্য ও ন্যায়বিচারের একটি সমন্বিত প্রক্রিয়া। এটি কেবল অতীতের গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের মোকাবিলা করবে না, বরং নিশ্চিত করবে যেন এমন ঘটনা আর কখনও না ঘটে। আমি অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানাই, তারা যেন আন্তর্জাতিক আইনের আলোকে বর্তমান উদ্বেগগুলো দ্রুত সমাধান করে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বাংলাদেশে গুমের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে যা বললেন ভলকার তুর্ক

আজ ‘প্রাক্তনকে ক্ষমা করার দিন’

বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ৪র্থ

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবে না এনসিপি

বগুড়ার শাজাহানপুরে জনসম্মুখে ছাত্রীর সাথে শিক্ষকের অশোভন আচরণ

পাসের হারে এগিয়ে মাদ্রাসা বোর্ড  জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৪,২৬৮ জন