ভিডিও রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২

পাবনায় ৯ কোটি আত্মসাতের অভিযোগে জনতা ব্যাংকের ম্যানেজার জেলহাজতে

পাবনায় ৯ কোটি আত্মসাতের অভিযোগে জনতা ব্যাংকের ম্যানেজার জেলহাজতে। প্রতীকী ছবি

সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার সাঁথিয়ায় বনগ্রামজনতা ব্যাংকের গ্রাহকদের ৯কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ম্যানেজার হেমায়েত করিমকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ। ব্যাংক ম্যানেজারের আটকের খবরে গতকাল রোববার ব্যাংকে গ্রাহকদের উপচে পড়া ভিড়। টাকা খোয়া যাওয়ায় ব্যাংকে গ্রাহকদের আর্তনাদের রোল পড়েছে।

জানা যায়, গত বুধবার বনগ্রামের ব্যবসায়ী উপজেলার সাগরদারী গ্রামের সালাম ব্যাপারী জনতা ব্যাংক বনগ্রাম বাজার শাখায় টাকা তুলতে যান। তার হিসেবে টাকা নেই বলে ব্যাংক হিসাবরক্ষক জানালে তুলকালাম কান্ড ঘটে। এঘটনায় সালামের চিৎকারে আশপাশের ব্যবসায়ী গ্রাহকরা ব্যাংকে জড়ো হয়ে তাদের হিসাব নম্বর চেক করলে দেখা যায় প্রায় গ্রাহকেরই জমা রাখা টাকা কম। বিষয়টি জেলা অফিসকে জানালে তারা এসে ঘটনার সত্যতা পায়। এ নিয়ে রাতভর যাচাই বাছাই করে অভিযুক্ত হেমায়েত করিমকে পুলিশ হেফাজতে দেয়া হয়।

গত বৃহস্পতিবার নতুন ব্যবস্থাপক ফরিদুজ্জামানকে দায়িত্ব দেয়া হয়। ঐ দিনই ফরিদুজ্জামান বাদি হয়ে আতাইকুলা থানায় পূর্বের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে ৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
আতাইকুলা থানার ওসি সৈয়দ মোহাম্মদ আলমগীর হোসের জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে ১৫৪ ধারায় মামলা দায়ের করে গত বৃহস্পতিবারে অভিযুক্তকে পাবনা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এদিকে বনগ্রাম বাজার জনতা ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক আটকের ঘটনার সংবাদ জানাজানি হলে গ্রাহকদের গতকাল রোববার সকাল থেকে ব্যাংককে ভিড় দেখা গেছে। সকলেই তাদের নিজ নামীয় হিসেবে রাখা টাকা চেক করছে।

বনগ্রামের ব্যবসায়ী তনয় ভ্যারাইটিস দোকানের মালিক তনয় সাহা জানান, তার সিসি লোনের ৪৯ লাখ টাকা হিসাব থেকে উধাও হয়েছে। তিনি আরও জানান, টাকা হিসাব থেকে তুলে নেবার পূর্বে মোবাইলের ম্যাসেজ অপশন বন্ধ করে দেয়া হয়।

আরও পড়ুন

সাগরদারি গ্রামের সালাম ব্যাপারী জানান, আমি গরুর ব্যবসা করি। ব্যবসার সব টাকা জনতা ব্যাংক বনগ্রাম শাখায় রেখেছিলাম। গত বুধবার দুপুরে ব্যাংকে টাকা উত্তোলন করতে গেলে দেখি আমার হিসাব থেকে ৪১ লাখ টাকা নেই। তিনি টাকার শোকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

খালইভড়া গ্রামের শাপলা খাতুনের ১৬ লাখ টাকার জমা রশিদ দিলেও ওই টাকা হিসাব নম্বরে জমা হয়নি। ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মুনসুর আলম পিন্চুর হিসাব থেকে ১০ লাখ টাকা উধাও হয়ে গেছে।

বনগ্রামের আব্দুল মতিনের ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, রাজাপুর গ্রামের হযরত আলীর ১ লাখ ৫০ হাজার, বহল বাড়ীয়ার আবু জাফরের ৫ লাখ টাকাসহ বিভিন্ন গ্রাহকের টাকা বিভিন্ন উপায়ে আত্মসাত করেছে। বনগ্রাম জনতা ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক ফরিদুজ্জামান বলেন, গ্রাহকদের থেকে অভিযোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জনতা ব্যাংক পাবনা শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার মুন্জুরুল ইসলাম জানান, বিভাগীয় কর্মকর্তারা তদন্ত করছেন এবং ঢাকা হেড অফিস থেকে কর্মকর্তারা তদন্ত করছেন। তদন্ত শেষে আসল ঘটনা জানা যাবে। অভিযুক্ত ম্যানেজার বর্তমানে জেলহাজতে আছেন।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পাবনায় ৯ কোটি আত্মসাতের অভিযোগে জনতা ব্যাংকের ম্যানেজার জেলহাজতে

বিমানবন্দরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১০০ কোটি টাকার বেশি: বিজিএমইএ

মাজার জিয়ারতের কথা বলে সিলেটে নিয়ে স্ত্রীকে হত্যা

পদত্যাগ করলেন খালেদ মাসুদ পাইলট

ব্র্যাণ্ড প্রমোশনে এগিয়ে যাচ্ছেন জান্নাতুল মনি, আগ্রহ রয়েছে মডেলিং-এ

নোয়াখালীতে শিবিরের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ, আহত ২০