সিরাজগঞ্জে ভালবেসে বিয়ে করে তিন মাস পরই লাশ হলো সুমী
তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ভালবেসে বিয়ে করে ৩ মাস পরেই লাশ হতে হলো উপজেলার চকমির্জাপুর গ্রামের রেজাউল করিমের মেয়ে মোছা. সুমী খাতুন (২২)। জানা গেছে, সিরাজগঞ্জ বিএ কলেজের শিক্ষার্থী সজীব হাসানকে (২৪) তিনমাস আগে ভালোবেসে বিয়ে করে সুমী। সজীব সিরাজগঞ্জ নার্সিং ইনস্টিটিউটের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং পার্শ্ববর্তী রোকনপুর দামরা গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে।
পরিবারের অমতে বিয়ে করায় মেনে নিতে আপত্তি তোলে সজীবের পরিবার। এরই মাঝে আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে সমঝোতায় উভয় পরিবার তাদেরকে মেনে নেয়। গত রোববার বিকেল সুমী খাতুন তার স্বামীর সাথে শ্বশুর বাড়িতে আসে। সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে সজীবের পরিবার পক্ষ থেকে মোবাইল ফোনে সুমীর পরিবারকে জানায়, সুমী খাতুন ঘরের তীরের সাথে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় বগুড়ার শেরপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ নিয়ে সুমী খাতুনের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে প্রচার করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে সুমীর বাবা রেজাউল করিম বলেন, তার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না, তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা দায়ের করা হবে।
আরও পড়ুনবগুড়ার শেরপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এসএম সাজিদ হাসান সিদ্দিকী বলেন, সন্ধ্যায় সুমী খাতুন নামের এক রোগীকে কয়েকজন লোক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে, তাকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। লাশের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এর কিছুক্ষণ পর শেরপুর থানার পুলিশ এসে লাশ তাদের হেফাজতে নেয়।
এ বিষয়ে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মঈনুদ্দিন মাসুদ বলেন, অভিযোগ পেয়ে সুমী খাতুনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল থেকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তবে লাশ নিয়ে আসার সময় লাশের সাথে আসা পরিবারের লোকজন পালিয়ে যায়।
মন্তব্য করুন










