ভিডিও

বন্যায় ২৭৯৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪, ০৭:৫৭ বিকাল
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪, ১২:৪৩ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

সাম্প্রতিক আকস্মিক বন্যায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ১১টি জেলায় প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, দুই হাজার ৭৯৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো, আসবাবসহ অন্য দ্রব্যাদি এবং বইপুস্তক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের সংস্কার কার্যক্রমের জন্য প্রাথমিকভাবে প্রয়োজন হবে প্রায় ৩৩ কোটি টাকা। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ বাজেট সমন্বয় করা হবে। 

ক্ষতিগ্রস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে নোয়াখালীর ৭৬৩টি, লক্ষ্মীপুরের ৫০১টি, ফেনীর ৫৫০টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ২২টি, কুমিল্লার ৫২৩টি, চাঁদপুরের ১৬৯টি, চট্টগ্রামের ১৬৪টি, মৌলভীবাজারের ৭৭টি, সিলেটের ৮টি ও হবিগঞ্জের ২২টি।

খাগড়াছড়িতে কোনো বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। এগুলো ছাড়াও জেলাভিত্তিক আউট অব স্কুল চিলড্রেন শিক্ষা কার্যক্রমের শিখন কেন্দ্রগুলোর নোয়াখালী, কুমিল্লা, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলার ১৮টি উপজেলার ৯৪৬টি শিখন কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘সাম্প্রতিক অকস্মাৎ বন্যায় প্রাথমিক শিক্ষা সেক্টরে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং করণীয়’ সংক্রান্ত এক সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।


উপদেষ্টা বলেন, বন্যা-পরবর্তী পুনর্বাসনের সময় কাজগুলো ইমার্জেন্সি বেসিসে করতে হবে। সবাই মিলে কাজ করলে লক্ষ্য পূরণে সক্ষম হবো।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ইউনিটের মহাপরিচালক নুরজাহান খাতুন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আব্দুস সামাদ, এলজিইডির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশীদ মিয়া সরাসরি এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অনলাইনে উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জানানো হয়, ফেনী, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা এবং মৌলভীবাজারের এক হাজার ৩২১টি বিদ্যালয়ের এক লাখ ১৫ হাজার ৮২৩টি পাঠ্যপুস্তক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এগুলোর মধ্যে ২৮ হাজার ৭৩৬টি পাঠ্যপুস্তক সমন্বয় করা হয়েছে। বাকিগুলোর সমন্বয়ের কাজ চলমান রয়েছে। ফেনী সদর, দাগনভূঞা, সোনাগাজী, ছাগলনাইয়া, পরশুরাম ও ফুলগাজীর ৫৮২টি বিদ্যালয়ে ৯৭ হাজার ৫৫৩টি পাঠ্যপুস্তক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপজেলার উদ্বৃত্ত পাঠ্যপুস্তক হতে ২৪ হাজার ২৭৬টি পাঠ্যপুস্তক সমন্বয় করা হয়েছে। বাকি পাঠ্যপুস্তকের সমন্বয়ের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

 

 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS