আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে, কিছু কমেছে। সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে সক্রিয়। সব রকম চেষ্টা করে যাচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি নিয়ে সরকার উদাসীন নয়, নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
আজ সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ধানমন্ডিতে সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বহির্বিশ্বের একটা অংশ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচেনে ভোট নিয়ে সমালোচনা করলেও, মিউনিখ আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এতেই বিশ্বের বাংলাদেশের গুরুত্ব বোঝা যায়। তিনি আরও বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে যে অস্থিরতা চলছে, তাতে সীমান্তে নিরাপত্তা ঝুঁকি আছে। আমাদের বিজিবি সদা জাগ্রত আছে। সীমান্ত রক্ষায় সদা জাগ্রত। মিয়ানমারের অস্থিরতার ফলে নিরাপত্তার ঝুঁকি হতে পারে, সে বিষয় প্রস্তুতি তারা।
সংসদে বিরোধীদল নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা জাতীয় পার্টি হিসেবে বিরোধীদল গঠন করেছে, এর বাইরে জাতীয় পার্টির ভাগাভাগি সৃষ্টি করা নিজেদের ব্যাপার। সংসদের বাইরে যা হচ্ছে, তা নিয়ে আওয়ামী লীগের মাথা ঘামানোর কিছু নেই।
২৮ অক্টোবর বিএনপির সরকার বিরোধী আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার পর, বিভিন্ন মামলায় আসামি হয়ে দলটির প্রথম সারির নেতারা কারাভোগ করেছেন। নির্বাচন শেষে জামিনে বের হয়ে একের পর এক অভিযোগ করছেন। অভিযোগ করছেন বিএনপির ভাঙনের জন্য চেষ্টা করেছে সরকার। এ সময় বিএনপির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে জনগণ নেই, তাই তাদের নেতাকর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, তাদের রাজনীতিতে মিথ্যাচার চিরজীবনই অপরিহার্য। এটা তাদের মিথ্যাচারের ধারাবাহিকতা। বিএনপির সাথে জনগণ নাই। এখন কিছু একটা বলে, সরকারের বিরোধিতা করে জানান দিতে চায়। সরকারের বিরোধিতার নামে বিএনপির বক্তব্য পাগলের অসংলগ্ন প্রলাপ ছাড়া কিছু নয়।
তিনি বলেন, কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে, কিছু কমেছে। সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে সক্রিয়। সব রকম চেষ্টা করে যাচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি নিয়ে সরকার উদাসীন নয়, নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর যুদ্ধ বিরোধী অবস্থান বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ করেছে এ কথা জানিয়ে ওবায়দুল কদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সাক্ষাতে, রাশিয়ার সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক পরিবর্তন হবে না। যুদ্ধের বিরুদ্ধে সাধারণত মানুষের ক্ষয়ক্ষতির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ। মেট্রোরেল যারা ব্যবহার করতে অভ্যস্ত নয়, তাদের ক্ষেত্রে কিছুটা সময় অসুবিধা হতে পারে। তবে মেট্রোরেল অনেক মানুষের ভোগান্তি কমিয়ে দিয়েছে, এই ভালো কথাগুলো বলে বায়ুদূষণে সড়কে চলা আনফিট গাড়ির কথা বলতে পারতেন- এমন পাল্টা প্রশ্ন রাখেন ওবায়দুল কাদের। ওবায়দুল কাদের বলেন, সড়কে চলা আনফিট গাড়ির মালিকদের আপনারাও (সাংবাদিক) বলুন, আপনাদেরও লেখনীতে তুলে ধরুন। তাদেরকে এসব গাড়ি কারণে বায়ুদূষণ বাড়ছে এসব কথা বলুন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।