ভিডিও

তিন ধরে জ্বলছে চিনিকলের আগুন

প্রকাশিত: মার্চ ০৭, ২০২৪, ০১:১৬ দুপুর
আপডেট: মার্চ ০৭, ২০২৪, ০৪:৫৫ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

তিন দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও নেভেনি চট্টগ্রামে এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলের আগুন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলছেন, আগুন নিভতে আরও সময় লাগবে। এদিকে পুড়ে যাওয়া গলিত চিনি পড়ছে কর্ণফুলী নদীতে। এতে দূষণে মারা যাচ্ছে মাছসহ নদীর নানা জলজ প্রাণি।

আজ বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) পর্যন্ত আগুন নেভানো সম্ভব হয়নি। এখনও ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করে যাচ্ছে। সকালে আগুন লাগার স্থান পরিদর্শনে এসেছেন ফায়ার সার্ভিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। প্রায় তিন দিন ধরে এ আগুন দাউ দাউ করে জ্বললেও নেভার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ফায়ার সার্ভিসের যত ধরনের প্রযুক্তি আছে তার সবই এখানে কাজে লাগানো হয়েছে। তারপরও এ আগুনের কাছে যেন সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে।

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক এমডি আবদুল মালেক গণমাধ্যমকে বলেন, এস আলম চিনি কারখানার গুদামে লাগা আগুন এখনও জ্বলছে। পানি দিয়ে নেভানো যাচ্ছে না। এখানে বিপুল পরিমাণ অপরিশোধিত চিনি মজুত ছিল। সেগুলো এক ধরনের দাহ্য পদার্থ। এ কারণে আগুন নেভাতে সময় লাগছে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে। আজ সকালে ফায়ার সার্ভিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসেছেন। তিনি আরও বলেন, গুদামটি প্রায় ২৫ হাজার বর্গফুটের। উচ্চতা প্রায় পাঁচ থেকে ছয়তলা ভবনের সমপরিমাণ। এ গুদামে ন্যূনতম ফায়ার সেফটির ব্যবস্থা রাখেনি প্রতিষ্ঠানটি। যে কারণে আগুন ব্যাপক আকারে ছড়িয়েছে।

ঢাকা ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক (প্রশাসন অর্থ) জসিম উদ্দিন বলেন, যে গুদামটিতে আগুন লেগেছে সেটিতে বিপুল পরিমাণ অপরিশোধিত চিনি মজুত ছিল। এগুলো এক ধরনের দাহ্য পদার্থ। পানি দিয়েও এ আগুন নেভানো যাচ্ছে না। এ কারণে আগুন নেভাতে দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে। তবে আগুন যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সেটি আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। কবে নাগাদ নেভানো যাবে তা এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।’ এখানে কী শুধু অপরিশোধিত চিনি ছিল, নাকি অন্যকোনও রাসায়নিক মজুত ছিল- এমন প্রশ্নের উত্তরে ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত বাইরে থেকে পানি ছিটাচ্ছি গুদামে। আগুনের ভয়াবহতার কারণে গুদামের ভেতর প্রবেশ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে ভেতরে যতটুকু দেখা যাচ্ছে, তাতে ফায়ার সেফটি না থাকার বিষয়টি বোঝা যাচ্ছে। এখানে চিনি ছাড়া অন্য কোনও দাহ্য পদার্থ রাখা হয়েছে কিনা তা বোঝা যাচ্ছে না। আগুন নেভার পর খতিয়ে দেখা হবে।’

এস আলম গ্রুপের মানবসম্পদ কর্মকর্তা মো. হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘একই স্থানে আমাদের মোট ছয়টি গুদাম আছে। সোমবার ১ নম্বর গুদামে আগুন লাগে। এ গুদামটিতে এক লাখ মেট্রিক টনের বেশি অপরিশোধিত চিনি ছিল। যার সবটুকুই পুড়ে গেছে। যার বাজার মূল্য হাজার কোটি টাকার বেশি। গুদামটিতে এখনও আগুন জ্বলছে।’

 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS