ভিডিও

ছয় মাস বাড়ল খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ

প্রকাশিত: মার্চ ২০, ২০২৪, ০২:০৮ দুপুর
আপডেট: মার্চ ২০, ২০২৪, ০২:৫১ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে আগের দুটি শর্তে মুক্তির মেয়াদ আরও ছ’মাস বাড়নো হচ্ছে। তার মুক্তির মেয়াদ আরও ছ’মাস বাড়ানোর বিষয়ে মত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। মতামত দিয়ে তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হচ্ছে। 

আজ বুধবার (২০ মার্চ) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মুক্তির শর্ত ও আইন অনুযায়ী তার বিদেশে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাই সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো ছাড়া আর কিছু করার নেই।

মূলত- আগামী ২৫ মার্চ বেগম খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিতের চলমান মেয়াদ শেষ হবে এবং ২৬ মার্চ থেকে অষ্টমবারের মতো বাড়ানো দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ শুরু হবে। এর আগে সোমবার (১৮ মার্চ) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এবারের আবেদনেও তারা আগের মতোই খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি চেয়েছেন এবং বিদেশ যাওয়ার জন্য অনুমতি চেয়েছেন। ফাইলটা আমার হস্তান্তর করা হয়েছে। আমাকে এটি বিবেচনা করতে হবে, পড়তে হবে, দেখতে হবে। তবে ফাইলটা অতিসত্তর নিষ্পত্তি করা হবে।

আইনমন্ত্রী বলেন, বহুবার আমি আইনের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছি, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী যেই শর্তে তাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে এর বাইরে আইনিভাবে আমাদের আর কিছু করার নেই। তারপরেও আমি দেখছি, প্রথম যে চিঠি লেখা হয়েছিল, সেই আকারে একইভাবে আবার আবেদন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া কিন্তু দুটি শর্তে (বিদেশে যেতে পারবেন না ও ঢাকায় থেকে চিকিৎসা) মুক্ত। চলাফেরায় তার কিন্তু কোনো অনুমতি নিতে হয় না। তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আইনি সুযোগ আছে। কিন্তু অন্য কিছু করার আইনি সুযোগ নেই।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জীবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তার জীবন রক্ষায় দেশের বাইরে চিকিৎসা ও তার স্থায়ী মুক্তি চেয়ে রোববার (১৭ মার্চ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন তার ভাই শামীম ইস্কান্দার। পরে আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এর আগে গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসনের সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যা এ মাসে শেষ হতে যাচ্ছে।

৭৮ বছর বয়সি খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার ও হৃদ্রোগে ভুগছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজা হলে কারাজীবন শুরু হয় খালেদা জিয়ার। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তার সাজার রায় হয়। সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাবরণের পর সরকারের নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়া প্রায় ৫ বছরের কাছাকাছি সময় ধরে গুলশানে নিজ বাসা ‘ফিরোজায়’ রয়েছেন।  



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS