ভিডিও

ভালুকায় সেই শিশুকে মামার জিম্মায় দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ

প্রকাশিত: মে ১৩, ২০২৪, ০৫:৩১ বিকাল
আপডেট: মে ১৩, ২০২৪, ১১:৪১ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

ময়মনসিংহের ভালুকায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া নারীর শিশু সন্তান মেহেদী হাসান ওরফে জায়েদকে তার মামার জিম্মায় দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (১৩ মে) বিচারপতি এম আর হাসান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদের চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ময়মনসিংহের ভালুকায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মায়ের মৃত্যু হলেও কোল থেকে ছিটকে পড়ে অলৌকিক বেঁচে আছে দেড় বছরের শিশুপুত্র মেহেদী হাসান ওরফে জায়েদ। মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে বর্তমানে শিশুটি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৬ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার ছবি দেওয়া হয়। পরে ছবিটি ভাইরাল হয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে শিশুটির কোনো আত্মীয়-স্বজনের সন্ধান পাওয়া না গেলেও দুই দিন পর রোববার স্বজনদের মাধ্যমে পরিচয় মিলেছে তাদের।

নিহতের বড় ভাই রবিন মিয়া ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসে মর্গে থাকা বোন জায়েদা খাতুনের (৩২) মরদেহ এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভাগ্নে মেহেদী হাসানকে শনাক্ত করেন।

নিহত জায়েদা খাতুন সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার খুশিউড়া গ্রামের মো. রমিজ উদ্দিনের মেয়ে।

এদিকে রোববার সকালে হাসপাতালের পরিচালকসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শিশুটিকে দেখতে ওয়ার্ডে যান। এ সময় হাসপাতালের পরিচালক গোলাম ফেরদৌস সাংবাদিকদের জানান, শিশুটি এখন শঙ্কামুক্ত। সমাজসেবা অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকবে। প্রকৃত অভিভাবক পেলে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এদিকে পুলিশ জায়েদার স্বামী ফারুক মিয়াকে খুঁজছে। হাসপাতালে আগত স্বজনদের কেউ কেউ বলছেন, শিশুর বাবা ফারুক মিয়া হাসপাতালে আড়াল করে আছেন।

ভালুকা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান জানান, ৯ মে শুক্রবার রাত ৩টার দিকে ভালুকা উপজেলার স্কয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় অজ্ঞাতপরিচয় মা ও শিশুপুত্রকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কীভাবে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা তারা জানেন না। স্থানীয় লোকজন খবর দিলে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর ওই নারী মারা যান। শিশুপুত্রটি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

নিহতের বড় ভাই রবিন মিয়া জানান, প্রথমে ময়মনসিংহের তারাকান্দায় বিয়ে হলেও স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় সেই সংসার ভেঙে যায় তার বোন জায়েদা খাতুনের। এরপর জায়েদা খাতুনের বিয়ে হয় নরসিংদীর পলাশ থানার গজারিয়া ইউনিয়নের কফিল উদ্দিনের ছেলে মো. ফারুক মিয়ার সঙ্গে। স্বামী ফারুক মিয়া এর আগেও একটি বিয়ে করেন। সেই ঘরে এক স্ত্রী ও তিন সন্তান রয়েছে।

 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS