ভিডিও

বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের দেশ হয়েও বিলাসী দেশে পরিণত হয়েছে : সিপিডি

প্রকাশিত: জুন ০২, ২০২৪, ০৬:৩৯ বিকাল
আপডেট: জুন ০২, ২০২৪, ০৮:৫৮ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের দেশ হয়েও বিলাসী দেশে পরিণত হয়েছে। আমরা আয় করি কম। কিন্তু খাবারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করতে হয়, যার ভুক্তভোগী গরিব ও সাধারণ মানুষ।

আজ রোববার (২ জুন) গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ‘বাংলাদেশ অর্থনীতি ২০২৩-২৪: তৃতীয় অন্তর্র্বতীকালীন পর্যালোচনা’ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে সংস্থাটির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এসব কথা বলেন। 

তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারা সরকারের জন্য বড় ধরনের ব্যর্থতা। ২০১৯ সাল থেকে খাদ্যমূল্য বিবেচনা করলে মূল্যস্ফীতি অস্বাভাবিক। আয় কম, কিন্তু খাবারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করতে হয়। ধনী ও গরিবের মধ্যে বৈষম্য বেড়েছে।

গরিবের আয় বাড়েনি। জিডিপিতে জাতীয় আয় বাড়ছে। কিন্তু কর্মসংস্থানের ভূমিকা রাখতে পারছে না।গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, মূল্যস্ফীতিতে আমরা ৯ ও ১০ শতাংশে অবস্থান করছি। বর্তমানে শ্রীলঙ্কার চেয়েও বেশি। তিনি জানান, তাদের পর্যালোচনা দেখা গেছে, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে পাঁচ বছর ব্যবধানে মোটা চালের দাম বেড়েছে ৩০ শতাংশ।

একই সময়ে মিনিকেট চালের দাম ১৭ শতাংশ ও পাইজামের দাম বেড়েছে ১৫ শতাংশ। গত ৫ বছরে মসুর ডাল ৯৫, আটা ৪০-৫৪, ময়দা ৬০, খোলা সয়াবিন ৮৪, বোতলজাত সয়াবিন ৫৬ ও পামওয়েলে দাম ১০৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গরুর মাংসের দামও বেশি। ব্রয়লার মুরগি ৬০ ভাগ, চিনির ১৫২ ভাগ, গুঁড়া দুধ ৪৬-৮০, পেঁয়াজ ১৬৪, রসুন ৩১০ ও শুকনা মরিচের দাম ১০৫ ভাগ বেড়েছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের দেশ হয়েও বিলাসী দেশে পরিণত হয়েছে। আমরা আয় করি কম। কিন্তু খাবারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করতে হয়, যার ভুক্তভোগী গরিব ও সাধারণ মানুষ। ধনী ও গরিবের বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানে মাথাপিছু অভ্যন্তরীণ আয় ২৬৭৫ মার্কিন ডলার, আর মাথাপিছু জাতীয় আয় ২৭৮৪ ডলার।

মাথাপিছু গড় আয় যতটুকু পেয়েছি, মূলত উচ্চ আয় যারা করেন তাদের কারণে। গরিব মানুষদের কথা বিবেচনা করলে তাদের আয় কমে গেছে। এখানে বৈষম্য বেড়েছে। তাদের উন্নতি হয়নি। বেসরকারি বিনিয়োগ দেখা যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে সরকারের নেওয়া অতিরিক্ত ঋণ একটি বড় কারণ। বিষয়টি সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সরকারের যে সাড়ে ৭ শতাংশ বিনিয়োগ লক্ষ্যমাত্রা তা অর্জিত হবে না বলে মনে করছি।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS