পোশাক শ্রমিকদের সময়মত ন্যায্য মজুরি নিশ্চিতকরণ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। কোনো স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী যাতে শ্রমিকদের ব্যবহার করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে এবং শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষিত থাকে সে বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ঈদুল আযহার ছুটি শুরুর পূর্বেই শ্রমিকদের মে মাসের বেতন এবং ঈদুল আজহার বোনাস পরিশোধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে কমিশন।

মঙ্গলবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইউশা রহমানের সাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১ জুন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিভিন্ন সংগঠন গার্মেন্টস শ্রমিকদের পক্ষে মে মাসের প্রাপ্য বেতন ও ঈদুল আযহার বোনাস পরিশোধসহ বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করে। ওই বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল কমিশনের নজরে এসেছে। প্রতিবছর বিভিন্ন সময়ে বকেয়া বেতনের দাবিতে এবং বিশেষ করে ঈদের পূর্বে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন-বোনাসের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করতে দেখা যায়। শ্রমিকদের সময়মত ন্যায্য মজুরি নিশ্চিতকরণ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। 
 
এ বিষয়ে কমিশনের মাননীয় চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মানবাধিকার এবং শ্রম অধিকারের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। ১৯৪৮ সালে ঘোষিত জাতিসংঘের সর্বজনীন মানবাধিকারের ঘোষণাপত্রের ধারা-২৩ এ ন্যায্য ও অনুকূল পারিশ্রমিক লাভের অধিকারের কথা উল্লেখ রয়েছে। এক্ষেত্রে আমাদের সাংবিধানিক প্রতিশ্রুতি ও আইনি বাধ্যবাধকতাও রয়েছে। যথাসময়ে নির্ধারিত মজুরি নিশ্চিত করা প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব। শ্রমিক অধিকার সুরক্ষা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে এর বিকল্প নেই। প্রাপ্য মজুরিই তাঁদের জীবিকার একমাত্র অবলম্বন। এক্ষেত্রে, প্রাপ্য মজুরি যথাসময়ে না পাওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।’  

উল্লেখ্য, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশে শ্রম অধিকার সুরক্ষার বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করে। এ লক্ষ্যে কর্মস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, মর্যাদাপূর্ণ ও অনুকূল মজুরি ও সার্বিক শ্রমিক অধিকার সুরক্ষার তাগিদে নিয়মিত বিভিন্ন স্থানে কারখানা পরিদর্শন করে থাকে।