ভিডিও

বাজেটে রাঘব বোয়ালদের লুটে খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত: জুন ০৮, ২০২৪, ০৮:০২ রাত
আপডেট: জুন ০৯, ২০২৪, ১২:৩১ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

বাজেটে কালো টাকাকে সাদা করার প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও সরকারকে উদ্দেশ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আপনারা নিজেরাই তো এর সঙ্গে জড়িত। আপনারা এই বাজেটের মাধ্যমে রাঘব-বোয়ালদের লুটে খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। এই বাজেট ক্ষতি ছাড়া আর কিছুই নয়। দ্রব্যমূল্যের দাম এতটাই বেড়েছে যে এটা এখন আর সহনীয় পর্যায়ে নেই।
   
শনিবার (৮ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সিরাজুল আলম খানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘বাঙালির জাগরণে করণীয় ও সিরাজুল আলম খান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজন করেছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতী আন্দোলনের প্রধান সম্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ।

সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বাংলাদেশ আজ মারাত্মক সংকটের মধ্যে পতিত হয়েছে। বাংলাদেশের অস্তিত্ব আজ হুমকির মুখে। এমন একটি শাসকগোষ্ঠী জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। তারা সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সিরাজুল আলম খানের অবদানকে অস্বীকার করা যাবে না। তার অবদানকে অস্বীকার করা মানে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করা। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃত করা হচ্ছে।

সরকারের সমালোচনা করে নেতারা বলেন, বাংলাদেশ নামক প্রজাতন্ত্রটি চরম বিপজ্জনক পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। জনগণের সম্মতি ও সমর্থনবিহীন সরকার বেআইনিভাবে ক্ষমতা দখল করে রাষ্ট্র থেকে জনগণ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পরিত্যাগ করে ফেলেছে। অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখার কারণে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসহ সমাজ অপরাধপ্রবণ হয়ে পড়েছে। দুর্নীতি ও লুণ্ঠন প্রজাতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য হয়ে উঠেছে।

 

তারা আরও বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুণ্ঠনের অবাধ প্রতিযোগিতা চলছে, দুর্নীতি ও অপরাধীদের যেভাবে দায়মুক্তি দেওয়া হচ্ছে, আইনের সমতা প্রয়োগ না করে যেভাবে সুবিধামতো আইনকে প্রয়োগ করা হচ্ছে, তাতে বাংলাদেশ দুর্বৃত্ত বৈশিষ্ট্যপূর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। অধিকারহারা ও স্বাধীনতাহারা হয়ে দেশের নাগরিক এখন রাষ্ট্রের কাছে অপাঙক্তেয় হয়ে পড়েছে। বেকারত্ব দ্রব্যমূল্য, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি, দফায় দফায় বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি জনজীবনকে চরম বিপর্যয়ে ঠেলে দিয়েছে।

বিপুল সংখ্যক মানুষ প্রতিনিয়ত ক্ষুধার্ত ও দারিদ্র্যে আক্রান্ত ও নিষ্পেষিত হচ্ছে মন্তব্য করে নেতারা বলেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থার দুর্দশা, অনিয়ম ও নৈরাজ্যের কারণে উৎপাদনশীলতার ঘাটতি সর্বোপরি অর্থ লুট ও পাচারে রাষ্ট্র এখন দেউলিয়া হওয়ার দ্বারপ্রান্তে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় তলানিতে। সামাজিক নৈরাজ্য ও সংকট নিয়ন্ত্রণহীন পর্যায়ে চলে গেছে। গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসন বা সামাজিক ন্যায়বিচার জলাঞ্জলি দিয়ে, রাষ্ট্রের সর্বময় ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাষ্ট্র ও সমাজকে সরকার ক্রমাগত অনিরাপদ করে তুলেছে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসনাত কাউয়ূম, জেএসডি কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া, সহসভাপতি অ্যাডভোকেট কে এম জাবির। এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সহসভাপতি তানিয়া রব।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS