ভিডিও

ডিএনএ টেস্টের জন্য প্রস্তুত আছি: আজীম কন্যা ডরিন

প্রকাশিত: জুন ১২, ২০২৪, ০৬:১৯ বিকাল
আপডেট: জুন ১৩, ২০২৪, ১২:৪৩ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

ঝিনাইদহ–৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীমের মরদেহ সনাক্তের জন্য ডিএনএ টেস্টের জন্য প্রস্তুত আছেন বলে জানিয়েছেন তার কন্যা মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁনের সঙ্গে দেখা করে সাংবাদিকদের তিনি জানান, এজন্য যখন যেখানে যেতে হবে তখনই যাবেন।

 

আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নিজের সন্তুষ্টি তুলে ধরে ডরিন বলেন, ‘তদন্তে আমি অবশ্যই সন্তুষ্ট। তাদেরকে (তদন্তকারী) আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই। তারা কিন্তু অনেকজনকেই, আমরা দেখছি আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে।’ 

এদিকে, এমপি আজীম হত্যার ঘটনা সঠিক পদ্ধতিতে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের খুঁজে বের করা হচ্ছে। 

আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘তদন্ত হচ্ছে এবং আমরা মনে করি, এটা শেষ হওয়ার পরেই আমরা সব বলব। উদ্দেশ্য কি ছিল, এগুলো আমরা পরে জানাব। আর এখানে চাপ প্রয়োগের তো প্রশ্নই আসে না। কে চাপ দেবে কাকে? একটা খুন হয়েছে, আমাদের একজন মাননীয় সংসদ সদস্য। যারা খুন করেছেন, তাদের খুঁজে বের করার দায়িত্বটা আমাদের। আমরা তাই করছি।’

গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে নিখোঁজ হন সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম। ২২ মে কলকাতা পুলিশ জানায়, আজীম খুন হয়েছেন। একই দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানও জানান, আজীমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

এ ঘটনায় একই দিন আজীমের খোঁজ চেয়ে রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় মামলা করেন তাঁর মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। 

আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরুর পর আসতে থাকে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তবে আজীমের মরদেহ পাওয়া যায়নি। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ও ভারতে মোট ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দুই দেশের পুলিশ। এদের মধ্যে দুইজন জেলা আওয়ামী লীগের নেতা আছেন। এরমধ্যে ডিবির হেফাজতে আছে আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, সেলেস্তা রহমান ও তানভীর ভূঁইয়া। আর কলকাতা পুলিশের হেফাজতে আছেন জিহাদ হাওলাদার ও মো. সিয়াম হোসেন। 

এছাড়াও গত মঙ্গলবার ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে আটক করে পুলিশ। এরআগে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কামাল আহমেদ বাবু গ্রেপ্তার হন। বাবু বর্তমানে পুলিশ রিমান্ডে আছেন। শিমুল, সেলেস্তা ও তানভীর এরই মধ্যে এমপি আজীমকে অহরণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। তারা বর্তমানে কারাগারে আছেন।

কলকাতা পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার জিহাদ এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। আজীমের মরদেহ থেকে হাড় ও মাংস আলাদা করার কাজটি মূলত সে–ই করেছে। 

তদন্তের অংশ হিসেবে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে একটি দল সম্প্রতি কলকাতায় যায়। গত ২৮ মে বিকেলে কলকাতার নিউটাউনের সঞ্জীবা গার্ডেনের সেপটিক ট্যাংক থেকে প্রায় ৪ কেজি মাংসের টুকরা উদ্ধার করে ডিবি ও কলকাতা সিআইডির যৌথ দল। সে সময় ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের জানান, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে এটি আজীমের দেহাবশেষ। ফরেনসিক টেস্টের মাধ্যমে পরে জানা যাবে এটি তাঁর দেহাংশ কিনা।

 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS