ভিডিও

সেন্টমার্টিন ইস্যুতে সরকারের পদত্যাগ করা উচিৎ : মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২৪, ০৪:৩১ দুপুর
আপডেট: জুন ১৬, ২০২৪, ১০:১৬ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সেন্টমার্টিনে মিয়ানমার থেকে গুলি করা হচ্ছে আমাদের দেশের লোক মারাও যাচ্ছে, অথচ সরকার কোন কথা বলছে না। এটাকে আমরা তীব্র ভাবে কনডেম করি, আমরা মনে করি অবিলম্বে এই ইস্যুতে সরকারের পদত্যাগ করা উচিৎ।

রবিবার (১৬ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে ঠাকুরগাঁও শহরের কালিবাড়ি এলাকার নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সেন্টমার্টিনে মিয়ানমারের যুদ্ধজাহাজও দেখা যাচ্ছে, এটা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর প্রচন্ডভাবে হুমকি। দুর্ভাগ্যের কথা হচ্ছে- বর্তমানে যে একটা অনির্বাচিত সরকার আছে, যারা দখলদারীর সরকার, জোর করে বসে আছে; এদের কাছে সার্বভৌমত্বের ব্যাপারটা কোনক্রমেই প্রভাব বিস্তার করছে না।’ 

 

তিনি বলেন, “একটা ভিন্ন দেশ থেকে আমার যে পথ যেটা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত, সেই পথে মানে সমুদ্রসীমা, সেখানে আমি যাতায়াত করতে পারছি না। অথচ সরকার এখণ পর্যন্ত একটা যে স্টেটমেন্ট মিয়ানমারে দেবে সেটা পর্যন্ত তারা করে নাই। তারা বলছে, ‘আমরা দেখছি’। সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত আসছে, আর তারা দেখছে; এই সরকারের ওপর আমাদের আস্থা কি করে থাকবে, দেশের মানুষ আশা করে এই দেশের সার্বভৌমত্ব সরকার রক্ষা করবে, স্বাধীনতা রক্ষা করবে। সেখানে সরকারের কোন রকম কথাই আমরা শুনতে পাচ্ছি না।”

‘আমি মনে করি- এই সরকার যেহেতু দুর্বল একটা সরকার, কোন ম্যানডেট নাই মানুষের, এটা একটা নতজানু সরকার। বিদেশের ওপর নির্ভর করে এই সরকার টিকে আছে। যে কারণে একটা কথা বলতে এই সরকার সাহস পায় না- যোগ করেন তিনি।

ফখরুল বলেন, ‘সেন্টমার্টিন এলাকায় সেনাবাহিনী মোতায়েন বিষয়ে সিদ্ধান্ত সরকার নির্ধারণ করবে এবং সেখানে তো জবাব দিতে হবে; একটা স্টেটমেন্টও তো দেয়নি সেখানে সেনাবাহিনী কি মোতায়েন করবে। একটা স্টেটমেন্ট কনডেম করা, আন্তর্জাতিক বিশ্বে তুলে ধরা ভায়োলেট দিস রুলস, বর্ডার মানে বাউন্ডারি নষ্ট করে দিচ্ছে। সেনাবাহিনী ইস্যু তো অনেক পরে আসবে।’

সম্প্রতি বিএনপিতে পরিবর্তন ইস্যুতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আন্দোলন সাময়িকভাবে স্থবির হয়েছে সরকারের দমন-নীপিড়নের কারণে; এই আন্দোলন চলমান এবং আরও তীব্র হবে। আর একটা রাজনৈতিক দলের এই যে পরিবর্তন হয়, কারণ সেই রাজনৈতিক দলকে আরও শক্তিশালী করার জন্যই হয়। আমাদের এই পদগুলো শূণ্য ছিল, অনেকেই মারা গেছেন, কেউ নিশ্চয়ই দেশ ছেড়ে চলে গেছেন, ওই জায়গাগুলো পূরণ করা হয়েছে। আর যাদেরকে নেওয়া হয়েছে তারা তরুণ, আমরা অত্যন্ত আশাবাদী এই পরিবর্তনের ফলে আমাদের দল আরও বেশি শক্তিশালী হবে।’

ঈদুল আজহা খারাপ যাবে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, ‘এখানে মুদ্রাস্ফীতি যেভাবে বেড়েছে এখানে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। সেটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে কোরবানি পশু যে লোকে কিনতে যাচ্ছে সেখানে পশু কিনতে পারছে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে নাগালের বাইরে সমস্ত দাম। ঢাকায় তো পশুর হাটে কোন লোকই নেই বাজারে। কেউ পশু কিনতে পারছে না। এটার কারণ হচ্ছে মানুষের আর্থিক অবস্থা চরমভাবে খারাপ হয়েছে। এই সরকার লুট করে দেশের সমস্ত সম্পদকে বিদেশে পাচার করে দিয়েছে, ব্যাংকগুলো থেকে লুট করে শেষ করে দিয়েছে এবং অর্থনীতিকে চরমভাবে খারাপ অবস্থায় নিয়েছে এসেছে।’

এসময় ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলামসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS