ভিডিও

পিন্টু সরবরাহ করেন আনার হত্যায় ক্লোরোফর্ম-চাপাতি 

প্রকাশিত: জুলাই ০৫, ২০২৪, ১০:১১ দুপুর
আপডেট: জুলাই ০৬, ২০২৪, ১২:০৯ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার ঘটনা তদন্তে আরো কিছু নতুন তথ্য পাওয়ার দাবি করেছে মামলার তদন্তকারী সংস্থা ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা-ডিবি।

ডিবির ভাষ্য, কলকাতার সঞ্জীবা গার্ডেনসের ফ্ল্যাটে এমপি আনারকে হত্যার সময় শাহীন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। হত্যার অন্যতম পরিকল্পনাকারী শাহীনের পিএস পিন্টু এ হত্যাকাণ্ডে বিশেষ ভূমিকা রাখেন।

এমপি আনারকে অচেতন করার জন্য ক্লোরোফর্ম ও চাপাতি সরবরাহ করেন তিনি।


তাঁর কাছ থেকে হত্যার এই সরঞ্জাম নেন মোস্তাফিজ, ফয়সাল ও জিহাদ। এরপর চরমপন্থী নেতা শিমুল ভূঁইয়ার নেতৃত্বে আনারকে হত্যা করা হয়। আনারকে হত্যা শেষে সবাই চলে গেলেও সঞ্জীবা গার্ডেনসের ওই ফ্ল্যাটে থেকে যান মোস্তাফিজ ও ফয়সাল। ফ্ল্যাটটিতে যেন কোনো চুল ও রক্তের দাগ না থাকে শাহীন তাঁদের সেই নির্দেশ দিয়ে যান।


শাহীনই দুজনকে  সব কিছু গুছিয়ে ঠিকঠাকভাবে রাখতে বলেন। এরপর ১৯ মে মোস্তাফিজ ও ফয়সাল বাংলাদেশে চলে আসেন। দুজনের দেশে ফেরার টিকিটও কেটে দেন শাহীন। বাংলাদেশে এসে শাহীনের ঢাকার বাসার তিনতলায় ওঠেন মোস্তাফিজ ও ফয়সাল।

গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ তথ্য দেন। তিনি বলেন, এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে এখন পর্যন্ত দেশে মোট সাতজন গ্রেপ্তার হয়েছেন।

ভারতে আরো দুজনসহ সব মিলিয়ে এই হত্যাকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ৯ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ছয়জনই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ছাড়া এই হত্যার ঘটনায় আরো যাঁদের নাম এসেছে তাঁদেরও গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।

শিগগিরই তাঁদেরও গ্রেপ্তার করা হবে। এই মামলায় গ্রেপ্তার ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে তিনি দায় স্বীকার করে কোনো জবানবন্দি দেননি।

এদিকে গতকাল এক ভিডিও বার্তায় ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে সর্বশেষ গ্রেপ্তার দুই আসামির মধ্যে ফয়সালকে হৃদরোগের রোগী ও মোস্তাফিজকে ঢাকায় শাহীনের বাসা থেকে কিডনি রোগীর ভুয়া কাগজ, ভুয়া ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং বিভিন্ন ভুয়া কাগজ দেখিয়ে ভারতের ভিসা করা হয়।

যত দিন পর্যন্ত তাঁদের ভিসা হয়নি তত দিন তাঁরা শাহীনের ঢাকার বাসায় ছিলেন। পরে সেখান থেকে পালিয়ে তাঁরা দুর্গম পাহাড়ে গিয়ে মন্দিরে আত্মগোপন করেন। সেখানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এরপর আদালত তাঁদের ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন জানিয়ে ডিবিপ্রধান বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে মোস্তাফিজ ও ফয়সাল জানান, আখতারুজ্জামান শাহীন তাঁদের ভারতে যাওয়ার জন্য পাসপোর্টের ব্যবস্থা করে দেন।

হারুন অর রশীদ বলেন, ভিসা হওয়ার পরে আখতারুজ্জামান শাহীন ২০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন মোস্তাফিজ ও ফয়সালকে ট্রেনে ভারতে চলে যাওয়ার জন্য। ভারতে গিয়ে তাঁরা ১০ এপ্রিল কলকাতার সঞ্জীবা গার্ডেনসে প্রবেশ করেন। ১৩ মে বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাসা থেকে বেরিয়ে লাল গাড়িতে করে এমপি আনারকে সঞ্জীবা গার্ডেনসে নিয়ে আসেন ফয়সাল। এরপর শাহীনের পিএস পিন্টুর কাছ থেকে অচেতন করার জন্য ক্লোরোফর্ম ও চাপাতি নিয়ে আসার দায়িত্ব পালন করেন মোস্তাফিজ, ফয়সাল ও জিহাদ।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS