ভিডিও

এবার গ্রেপ্তার বিশ্ববিদ্যালয়ের জাল সার্টিফিকেট তৈরির মূলহোতা

প্রকাশিত: জুলাই ১৪, ২০২৪, ০৯:১৭ রাত
আপডেট: জুলাই ১৪, ২০২৪, ০৯:১৭ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

দুই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জাল সার্টিফিকেট তৈরিকারী চক্রের মূলহোতা আবু জাফরকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ (দক্ষিণ) । শুক্রবার (১২ জুলাই) অভিযান চালিয়ে জাফরকে গ্রেফতার করা হয়। 

গত ২৬ মে তেজগাঁও থানায় এ বিষয়ে একটি মামলা হয়। সিটি ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার প্রফেসর মীর শওকত আলী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। সেই মামলায় জাফরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

ডিবি বলছে, এই চক্রের সঙ্গে আইটি বিশেষজ্ঞ জড়িত আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির একজন প্রাক্তন শিক্ষক ও অফিস সহকারী জড়িত আছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

রোববার (১৪ জুলাই) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। 

তিনি জানান, জাফর প্রতারণা করে সিটি ইউনিভার্সিটি এবং আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির জাল সার্টিফিকেট তৈরি করে বিক্রি করতো। 

তিনি আরও জানান, জাফর ২০১১ সালে পাবনা ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করার পর ঢাকায় এসে মিরপুরে গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। পরে ২০২০ সালে গার্মেন্টেসের চাকুরি ছেড়ে দিয়ে শীতের সোয়েটার ও থ্রি-পিচ বিক্রি করতেন। এর মাঝে ২০২৩ সালে আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে দালাল কাইয়ুমের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। তখন থেকেই তিনি এনআইডি, পাসপোর্ট সংশোধন ও তৈরির কাজে লিপ্ত হন। ২০২৩ সালে পাশের গ্রামে তার বন্ধু মাসুদ জাল সার্টিফিকেট তৈরি করে বিক্রি করার প্রস্তাব দেন এবং দুইজন নকল সার্টিফিকেট বিক্রির কাজে জড়িয়ে পরেন। গত মে মাসের যেকোনো সময় সিটি ইউনির্ভাসিটির নকল সার্টিফিকেট অনলাইনে পরিচিত সুমন নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে তৈরি করে অনলাইনে পরিচিত বাড্ডা এলাকার অজ্ঞাত ব্যক্তির কাছে ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। তিনি এবং তার বন্ধু মাসুদ আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির দুইটি নকল সার্টিফিকেট তৈরি করে অনলাইনে পরিচিত মালয়েশিয়া প্রবাসী দুইজন ব্যক্তির কাছে প্রতি সার্টিফিকেট ২৫ হাজার টাকা করে মোট ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। দি কুমিল্লা ইউনিভার্সিটির জাল সার্টিফিকেট নিজে প্রাইভেট চাকরির জন্য তৈরি করেন। এছাড়াও তিনি ও তার বন্ধু মাসুদ মিলে শতাধিক নকল জাল সার্টিফিকেট বিভিন্ন অনলাইন গ্রুপে বিভিন্ন প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি প্রত্যাশীদের কাছে বিক্রি করতেন। 

এ ঘটনায় ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম দক্ষিণ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুর রহমান আজাদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন এবং জাফরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS