ভিডিও

সাংবাদিকদের পেনশন স্কিমে যুক্ত হওয়ার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত: জুলাই ১৪, ২০২৪, ০৯:৩১ রাত
আপডেট: জুলাই ১৪, ২০২৪, ০৯:৩১ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাংবাদিকদের সমস্যা জানি বলেই যে পেনশন স্কিম দিয়েছি, তারা যদি এখন থেকে যুক্ত হয়, তাহলে ভবিষ্যৎটা চিন্তামুক্ত থাকবে। তিনি বলেন, ‘এখন মালিকদের ওপরে চাপ দিতে হবে পেনশন স্কিমে তারাও কিছু অংশ দেবে। ৫০ শতাংশ মালিকরা দিয়ে দিতে পারে।’

রবিবার (১৪ জুলাই) বিকালে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের এসব কথা বলেন ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘লাইসেন্স দিচ্ছি বলেই এত চাকরি হচ্ছে। না হলে হতো না। সাংবাদিকদের ওয়েজবোর্ডের বিষয়ে আমরা আলোচনা করবো। আবার সেখানে একটা ‘নওয়াব’ হয়ে আছে। এত নবাবগিরি দেখানো হয়, আমরা কোথায় যাবো? বেসরকারি খাত উন্মুক্ত করেছি বলেই মানুষের কাজের সুযোগ হয়েছে।’’

গুজব নিয়ে প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গুজবে কান দিয়েন না, এইটুকু বলতে পারি। কেউ যদি মিথ্যা কথা বলে শান্তি পায়, সে বলেই যাবে। গুজব বন্ধ করার কী পদ্ধতি, সেটা বললে ভালো হতো। আমরা যদি কিছু করতে যাই, তখন বলবে সাংবাদিক নির্যাতন। গণমাধ্যমের গলা টিপে ধরা হলো। এটা শাখের করাতে চলার মতো। সাংবাদিকদের কাছে অনুরোধ— গুজব শুনলে আপনারা ব্যবস্থা নিন। গুজবের বিষয়টি ছড়িয়ে দিন। যারা গুজব ছড়ায় তাদের এক্সপ্রোজ করেন। তবে কে কী বললো সেটাতে কান না দিলেই হলো। আমিতো কান দিই না। আমিতো জানি বলবে। তা শুনে লাভ কী? ওটা নিয়ে মন খারাপের কিছু নেই। আমি নিজের নীতিতে ঠিক আছি কিনা? দেশের জন্য কাজ ঠিকমতো করছি কিনা, সেটা দেখি।’

চীনের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন,  ‘চীনের সঙ্গে চুক্তির করার পাশাপাশি এটাও ঠিক করে এসেছি— কোন কোন জায়গায় আমরা অর্থ নেবো এবং কাজে লাগাবো। সেটা যৌথভাবে তাদেরও লোক আসবে, আমাদেরও টিম করে বসে প্রত্যেকটা প্রকল্পে নির্দিষ্ট করে আমরা টাকা নেবো। তারা আমাদের বিরাট অফার দিয়েছে তা ঠিক, কিন্তু নেবার সময় এ হিসাবটা করে আমাকে নিতে হবে। চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও এ বিষয়েও আমার এ কথা হয়েছে। অনুদান দেবেন, ঋণ দেবেন, কিন্তু নেবার বেলায় আমাদের মতো হিসাব করে নেবো।’

 

তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তিস্তা প্রকল্প বহু যুগের। বহুদিন ধরে এটা চলে আসছিল। আমার মনে পড়ে, যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনের সময়ও এটা ছিল। আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে বহুবার এটা ছিল। তিস্তা প্রকল্প আমাদের করতে হবে। চীনও আমাদের কিছু প্রস্তাব দিয়েছিল। তার সম্ভাব্যতা যাচাই হয়েছে। ভারতও অফার দিয়েছে। তারও সম্ভাব্যতা যাছাই করবে। এটা করার পরে যেটা আমাদের জন্য যুক্তিযুক্ত সেটা নেবো। তবে আমি বেশি প্রাধান্য দেবো, এটা ভারত করুক। কারণ, তিস্তার পানিটা ভারত আটকে রেখেছে। ভারতের কাছ থেকে আদায় করতে হলে প্রকল্পের কাজ তাদের করা উচিত। তারা প্রকল্প করে যা প্রয়োজন তা দেবে। এটা হচ্ছে কূটনীতি। এখানে আর কোনও কথা না। চীনতো প্রস্তুত, কিন্তু আমি চাচ্ছি এটা ভারত করে দিক। কারণ এ প্রকল্পের জন্য যা দরকার ভারত দিতে থাকবে। এটা সাফ সাফ কথা। রাখঢাক নাই।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘দক্ষিণাঞ্চল সবচেয়ে অবহেলিত সেখানে কাজ করার জন্য চীনকে বলেছি। পিরোজপুরে যাওয়ার জন্য কচা নদীর ওপর একটা সেতুর প্রয়োজন। এটা দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা। ওটা চীন করে দেবে। এটা আমাদের নবম ফ্রেন্ডশিপ সেতু। কোনও পয়সা লাগবে না। তারা তৈরি করে দেবে। এটা কি কিছু পাওয়া না, নাকি? আমি সবাইকে ভাগ করে দিয়েছি— কাকে কোথায়, আমার কঠিন কাজ সহজভাবে এবং ঠিক মতো হবে। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়।’



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS