ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় ছাত্রলীগ ও কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের মধ্যে দিনভর সংঘর্ষের পর আজ সোমবার বিকেল জরুরি বৈঠকে বসে প্রভোস্ট কমিটি। উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক থেকে পাঁচ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ঢাবির জনসংযোগ দপ্তর এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখার জন্য নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
১. শিক্ষার্থীরা স্ব স্ব হলে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করবেন।
২. প্রাধ্যক্ষ ও আবাসিক শিক্ষকগণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিধানে সার্বক্ষণিকভাবে হলে অবস্থান করবেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
৩. হলসমূহে কোনো বহিরাগত অবস্থান করতে পারবেন না।
৪. যেকোনো ধরনের গুজব ও অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহ্বান জানানো হচ্ছে ।
৫. সকলকে নাশকতামূলক কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য বলা যাচ্ছে। কেউ নাশকতামূলক কাজে জড়িত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সভায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং বিভিন্ন হলের প্রভোস্টরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করার জন্য আহ্বান জানানো হয়।
উল্লেখ্য, সকাল থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা জড়ো হতে থাকেন। পরে ছাত্রলীগের হামলায় তাঁরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। তাঁরা পলাশী, নীলক্ষেত, জগন্নাথ হল ও শহীদ মিনারসহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের ইমার্জেন্সি গেটে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে পড়েন। রাজু ভাস্কর্য ও টিএসসি এলাকায় অবস্থান নেয় ছাত্রলীগ। পরে থেমে থেমে ঢাকা মেডিকেল, কার্জন হল ও শহীদুল্লাহ হলের সামনে কয়েক দফায় সংঘর্ষ চলে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।