ভিডিও

নেতাকর্মীদের গ্রেফতারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ বিএনপি মহাসচিবের

প্রকাশিত: জুলাই ২৩, ২০২৪, ১১:০৯ রাত
আপডেট: জুলাই ২৪, ২০২৪, ১০:৪৫ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

কোটাবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এর নয়াপল্টনস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে আওয়ামী যুবলীগ-ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র হামলা ও ব্যাপক ভাঙচুর এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী ও বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা এডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়কারী এহেসানুল হুদা, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও নওগাঁ পৌরসভার মেয়র নাজমুল হক সনি, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক সাইফুল আলম নিরব, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক রফিকুল আলম মজনু, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম মহাসচিব তারেকসহ দেশব্যাপী বিএনপি ও বিরোধী দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে গ্রেফতার, কারান্তরীণ ও নাজেহালের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 
আজ এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “গণতন্ত্র ও মানুষের বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতার প্রতি আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী চিরদিনই বিদ্বেষপরায়ণ। বর্তমানে বাংলাদেশে চলছে এক ব্যক্তির মধ্যযুগীয় শাসন। অশুভ স্বৈরশাসনে সমাজ-সংস্কৃতি, সভ্য আচরণ আজ বিপন্ন। প্রকৃত রোগ হচ্ছে অনির্বাচিত, অবৈধ, ফ্যাসিবাদী ডামি সরকার। শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কারের যৌক্তিক আন্দোলনে কার ইশারায় রংপুরের আবু সাঈদ সহ দেড় শতাধিক ছাত্র-জনতাকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিরীহ ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর নৃশংস হামলা চালানো হয়েছে তা জনগণ ভালভাবেই জানে। হত্যাকারী ও হামলাকারীদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে হবে। বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এর রাজনৈতিক কার্যালয়ে আওয়ামী যুবলীগ-ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র হামলা ও ব্যাপক ভাঙচুর এবং উপরোল্লিখিত নেতৃবৃন্দসহ সাধারণ মানুষকে গ্রেফতার ও কারান্তরীণের ঘটনায় প্রমাণিত হয় যে, সরকারের ভিতে কম্পন শুরু হয়েছে। পাশাপাশি গণবিরোধী সরকারের বিরুদ্ধাচরণকারী দেশের জনগণের ওপর প্রতিশোধ নিতে সেনাবাহিনী নামিয়ে কারফিউ জারি করার মাধ্যমে জনগণকে চরম ভোগান্তির শিকার করা হয়েছে। হতাহতের প্রমাণ লোপাট করা হচ্ছে। দেশব্যাপী সংঘটিত এসব সরকারি অপতৎপরতা এবং পৈশাচিক ও বর্বরোচিত ঘটনা সারাবিশ্ব থেকে আড়াল করতে পরিকল্পিতভাবে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ আমল, পাকিস্তান আমল এবং স্বৈরাচার এরশাদ আমলেও এমন নির্বিচার হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়নি। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তারা যে ধরনের বক্তব্য রাখছেন তাতে প্রতীয়মান হচ্ছে যে, তারা সরকারি দলের কোন পদে অধিষ্ঠিত আছেন। আন্দোলনকে দমন করতে আওয়ামী সরকারের এ ধরনের আগ্রাসী ও নির্মম ভূমিকার নজির পৃথিবীর কোথাও নেই। সোমবার প্রধানমন্ত্রী বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে যে বক্তব্য রেখেছেন তা সম্পূর্ণরূপে ভিত্তিহীন, কাল্পনিক ও বিএনপির আদর্শের প্রতি কুঠারাঘাতের সামিল। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। বিএনপি দেশের একটি বৃহৎ ও জনপ্রিয় গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, এই দলটি সবসময়ই জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। সুতরাং বিএনপি কখনোই জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিতে পারে না। ফ্যাসিবাদী সরকারের পদত্যাগ এবং জনগণের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত সর্বত্র সুশাসন ও আইনের শাসন কায়েম করা সম্ভব নয়। তাই আমরা আবারও এই জনবিচ্ছিন্ন ভোটারবিহীন সরকারের পদত্যাগ দাবি করছি। 
আমি বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এর রাজনৈতিক কার্যালয়ে আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের কাপুরুষোচিত হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাই। অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করি। পাশাপাশি গ্রেফতারকৃত উল্লিখিত নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দায়ের করা বানোয়াট মামলা প্রত্যাহারসহ তাদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহবান জানাই।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS