কোটা আন্দোলনকে ঘিরে সারাদেশে সহিংসতা প্রতিরোধে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে। সে অনুযায়ী টানা ৪ দিন ধরে চলছে কারফিউ। রাজধানীসহ দেশজুড়ে সেনাবাহিনীর আওতায় জারি রয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
কোটা আন্দোলনের টানা কর্মসূচি ও কারফিউ সময়কালীন রাজধানী থেকে সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। একয়েকদিন জরুরি পরিবহন ছাড়া চলাচল করতে পারেনি কোনো গণপরিবহন। তবে কারফিউ শিথিলতায় দু একটি করে চলতে শুরু করেছে দূরপাল্লার পরিবহন।
বুধবার (২৪ জুলাই) সকালে সরেজমিন রাজধানীর অন্যতম ট্রানজিট পয়েন্ট গাবতলী বাস টার্মিনাল গিয়ে দেখা যায় কিছু দূরপাল্লার বাস ছাড়ছে। এসময় ঢাকা ছাড়ার উদ্দেশে অনেক যাত্রীকে বাসের অপেক্ষায় বসে থাকতে দেখা যায়। ভোর থেকে দু একটি পরিবহন চললেও বেশিরভাগ গাড়ি ছাড়বে সকাল ১০টার পর কারফিউ শিথিলের সাথে সাথে।
এসপি গোল্ডেন লাইনের ম্যানেজার মেহেদী জানান, গত শুক্রবার থেকে আজকে বুধবার প্রায় ৫ দিন পর বাস চলছে আমাদের। সকাল সাড়ে ৯টায় ছাড়বে গাবতলী থেকে। কারফিউ শিথিল হলে তারপরই ছাড়বে বাস।
যমুনা লাইনের টিকিট বিক্রেতা বাবু জানান, আজকে থেকে দূরপাল্লার বাস ছাড়ছে। এর আগে চিন্তা করেনি কেউ যাওয়ার। যাত্রীদের সঙ্গে বাস মালিকরাও ভয়ে ছিল। কিন্তু আজ প্রায় এক সপ্তাহ বন্ধ। মানুষের পেট তো চালাইতে হবে। আজকে অনেকটা সময় কারফিউ শিথিল তাই আজকে বাস ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অন্যদিকে ঢাকা থেকে মাগুরা যাওয়ার উদ্দেশে গাবতলীতে এসে সোহাগ পরিবহনের টিকিট নিয়েছেন সালমান আলী ও তার পরিবার। সালমান বলেন, ভোর ৬ টা থেকে বসে আছি। পরে সকাল সাড়ে ৯টার টিকিট পেয়েছি। আমার মা আর বোন ডাক্তার দেখাতে এসে আটকে পড়েন ঢাকাতে। আজকে কারফিউ শিথিল বেশি সময়। ঠিক সময়ে বাস ছাড়লে ৫ টার আগেই পৌঁছে যাবো আশাকরি।
এসময় গাবতলী বাস টার্মিনালের টিকিট কাউন্টারগুলোতেও যাত্রীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এদের মধ্যে অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ঋতু জানায় আন্দলোনে হঠাৎ করে হল ছাড়তে হয় পরে সেখান থেকে এক আত্মীয়ের বাসায় ছিলাম এখন বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করছি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।