ভিডিও

বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ২২ সিনেটরের চিঠি

প্রকাশিত: আগস্ট ০৩, ২০২৪, ০২:৪৩ দুপুর
আপডেট: আগস্ট ০৩, ২০২৪, ০৪:০৭ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে চিঠি দিয়েছেন দেশটির পার্লামেন্ট কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস এবং উচ্চকক্ষ সিনেটের ২২ জন সদস্য।

দেশটির মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের সিনেট সদস্য ক্রিস ভ্যান হোলেন এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছেন এ তথ্য। চিঠিতে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলন ও তার পরবর্তী পরিস্থিতির পাশাপাশি গত জানুয়ারি মাসের জাতীয় নির্বাচনের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মার্কিন জনপ্রতিনিধিরা।

সিনেটররা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের শ্রমিকদের দমন-পীড়ন এবং সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলন দমনে র‌্যাবকে ব্যবহার করা নিয়েও।

 

মানবাধিকার লঙ্ঘণের অভিযোগে র‍্যাবকে ২০১৭ সালে নিষেধাজ্ঞা দেয় মার্কিন প্রশাসন। সেই নিষেধাজ্ঞা এখনও প্রত্যাহার করা হয়নি।
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও মানবাধিকার পরিস্থিতিকে আরও সুসংহত করতে এই দেশে যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতা দ্বিগুণ করার আহ্বানও জানিয়েছেন তারা।

চিঠিতে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের উদ্দেশে মার্কিন এই আইনপ্রণেতারা লেখেন, "বাংলাদেশের বর্তমান গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ নিয়ে আমরা আপনার উদ্দেশে এই চিঠি লিখেছি। বাংলাদেশের শিক্ষার্থী আন্দোলনকারী এবং দেশটিতে ক্ষমতাসীন সরকারের মধ্যকার সাম্প্রতিক সংঘাত নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন, কারণ ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি যে নির্বাচনের মাধ্যমে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসেছে— যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ এবং অন্যান্য পর্যবেক্ষকদের কাছে সেই নির্বাচন ব্যাপকভাবে সমালোচিত এবং প্রশ্নবিদ্ধ।"

চিঠিতে বলা হয়, "বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ দেশটির গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে দুর্বল করছে। ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন এই সরকার দেশের শ্রমিকদের অনকূলে নীতি গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছে এবং অতি সম্প্রতিকালে সরকারি চাকরিতে প্রচলিত কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমন করতে বন্দুক, কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার সহ প্রায় এক সপ্তাহ পুরো দেশে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার ঘটনাও ঘটেছে।"

চিঠিতে আরও বলা হয় "এই আন্দোলনে এ পর্যন্ত অন্তত ১৭০ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন হাজারেরও বেশি এবং গ্রেপ্তার হয়েছেন হাজার হাজার। আন্দোলন দমনে দাঙ্গা পুলিশের পাশাপাশি এলিট ফোর্স র‌্যাবেরও ব্যবহার করেছে সরকার, যে বাহিনীকে মানবাদিখার লঙ্ঘণের অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। সারা দেশে কারফিউ জারি এবং কারফিউয়ের সময় লোকজনকে দেখামাত্র গুলির নির্দেশও সরকার দিয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।"

সবশেষে বলা হয়, "এই অবস্থায়, প্রিয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী, আমরা আপনার কাছে এই আহ্বান জানাতে চাই যে বাংলাদশের গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা এবং মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নে দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করা হোক। বাংলাদেশের পরিস্থিতি দিন দিন উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে।"



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS