ঝালকাঠির রাজাপুরের কানুনিয়া গ্রামে যৌতুক দিতে না পারায় এইচএসসি পরীক্ষার্থী নববধূ নাজমা আক্তারকে (১৯) বিষ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী জাহিদ হোসেন ও তার মা পলাতক রয়েছে।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নাজমার মা ফরিদা বেগম ও বোন ময়না বেগম অভিযোগ করেন।
নিহত নাজমা পিরোজপুরের কাউখালির গুয়াটন কলেজ এলাকার বৌলাকান্দা এলাকার আবুল বাসারের মেয়ে ও ঝালকাঠি সদর উপজেলার গুয়াটন কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী।
অভিযুক্ত স্বামী মুদি দোকানি জাহিদ হোসেন উপজেলার কানুনিয়া গ্রামের আবু বকররের ছেলে।
নাজমার মা ফরিদা বেগম ও বোন ময়না বেগম অভিযোগ করে জানান, চলতি বছরের ৮ মার্চ পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এরপর থেকেই যৌতুকের দাবিতে বিভিন্ন সময় মারধর ও মানসিক নির্যাতন করতো। বৃহস্পতিবার বিকেলে নাজমার স্বামী ও তার শাশুড়ি মিলে মারধরের এক পর্যায়ে তাকে বিষ খাওয়ায়। বিষয়টি নাজমা তার বোন ময়নাকে জানালে তারা গিয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এমনকি নাজমাকে তার বাবার বাড়িতে দাফন করা হলেও জামাতা বা শ্বশুরবাড়ির কেউ যায়নি। জামাতা জাহিদ মোবাইল জুয়ায় আসক্ত ও নেশাগ্রস্থ বলেও অভিযোগ করে এঘটনার বিচার দাবি করেন নাজমার পরিবার।
এ বিষয়ে রাজাপুর থানায় অভিযোগ দিলে সোমবার সন্ধ্যায় পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
রাজাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিপুল জানান, অভিযুক্ত ছেলের বাড়িতে গিয়ে ঘরে তালাবদ্ধ দেখা গেছে এবং ছেলে ও ছেলের মা পলাতক রয়েছে। অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।