ভিডিও

শজিমেক হাসপাতালে জরুরি বিভাগের সামনে আন্ডারপাসের দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২৪, ০৮:৫৩ রাত
আপডেট: সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২৪, ০৮:৫৩ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) ও হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে হাসপাতালের মূল গেটে আন্ডারপাস নির্মাণ দাবিতে আবারও একাট্টা হয়েছে এলাকাবাসী, ব্যবসায়ী, রোগীর স্বজন, এ্যাম্বুলেন্স মালিক-শ্রমিকসহ সর্বস্তরের মানুষ।

মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে আন্ডারপাসের জন্য দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রাম করে আসছেন ভুক্তভোগীরা। বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় এ বিষয়ে সংবাদ পরিবেশন করেন সংবাদ কর্মীরা। বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় আন্দোলনে নামে এলাকাবাসী, ব্যবসায়ী, রোগীর স্বজন, এ্যাম্বুলেন্স মালিক-শ্রমিকসহ সর্বস্তরের মানুষ।

গত ৩১ আগস্টের পর গতকাল বুধবার একই দাবিতে সকালে আন্দোলনে নামেন সর্বস্তরের মানুষ। তারা সকাল ১১টায় শজিমেক’র সামনের রাস্তায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেন। এতে বক্তব্য রাখেন সমাজসেবক তরিকুল ইসলাম আলমগীর, সাইমুম ইসলাম, জহুরুল ইসলাম পলাশ, ইমদাদুল হক, সাইফুর রহমান সেতু, বাকিরুল ইসলাম, জাকিরুল হাসান, বাকিরুল, আব্দুল কাদের নজরুল ইসলাম বাবু প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ গেট বরাবর আন্ডারপাস তৈরি করার মাধ্যমে ডাক্তার, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের রাস্তা পারাপারের ব্যবস্থা থাকলেও উত্তর অঞ্চলের হতদরিদ্র লোকজনের একমাত্র চিকিৎসার স্থান শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেট মহাসড়ক পারাপারের কোন ব্যবস্থা রাখা হয়নি।

ফলে সিরাজগঞ্জ, পাবনা, নওগাঁ, গাইবান্ধা, রংপুর, দিনাজপুর ও বগুড়ার বিভিন্ন থানা থেকে আগত রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স সহজে হাসপাতালে প্রবেশ করতে পারবে না। যদি কলেজ গেট দিয়েই ডাক্তার, শিক্ষার্থী, কলেজ স্টাফসহ রোগীর লোকজন, অ্যাম্বুলেন্স যাতায়াত করে তাহলে কলেজ ও হাসপাতালের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নতাসহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। অপরদিকে হাসপাতালের ইমার্জেন্সি গেট থেকে কলেজ গেটের দূরত্ব প্রায় এক কিলোমিটার।

হাসপাতালে জরুরি বিভাগের অপর পাশে ওষুধের দোকান, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, হোটেলসহ রোগীদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের প্রায় তিনশ’টির মতো দোকান রয়েছে। যদি মানুষ পারাপারের সুব্যবস্থা না থাকে তাহলে প্রায় ৩শ’টি দোকানের মালিক ও কর্মচারীসহ তাদের পরিবারের প্রায় দুই থেকে তিন হাজার লোকের জীবন জীবিকা বন্ধ হয়ে যাবে।

তাই জরুরিভিত্তিতে সাধারণ রোগী, রোগীর স্বজন, গ্রামবাসী, চিকিৎসা প্রত্যাশী সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে জরুরি বিভাগের গেটে রাস্তা পারাপারের জন্য আন্ডারপাস নির্মাণের জোড় দাবি জানানো হয়।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS