ভিডিও

পাবনার সুজানগরে অযত্ন অবহেলায় ডাকবাক্স

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২৪, ০৬:১২ বিকাল
আপডেট: সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২৪, ০৭:০৩ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

সুজানগর (পাবনা) প্রতিনিধি : এক সময়ের ঐতিহ্যবাহী ডাক বাক্স আর ডাক পিয়নের কদর নেই পাবনার সুজানগরে। উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় অযত্ন অবহেলায় পড়ে আছে ডাক বাক্স। ডাক পিয়নেরও আর খবর রাখে না কেউ।

অথচ কিছুদিন আগেও প্রিয়জনদের কাছে লেখা একটি চিঠি বা অন্য কোন পত্রাদি ডাক বাক্স বা ডাক পিয়নের হাতে দেওয়ার জন্য বিচলিত হয়ে পড়তেন মানুষ। পাশাপাশি প্রিয়জনদের খবর জানতে বা তাদের লেখা একটি চিঠি পাওয়ার আশায় সকালে বিকেলে ডাক পিয়নের বাড়িতে ছুটে যেতেন।

এরপরও যখন আপনজনদের কোন চিঠি বা সংবাদ পেতেন না তখন তারা তাদের সেই চিঠির জন্য ডাক পিয়নকে বারবার অনুরোধ করতেন পোস্ট অফিসে গিয়ে খোঁজ নিতে। বিশেষ করে যাদের আত্মীয়স্বজন বিদেশ থাকতেন তাদের কাছে ডাক বাক্স বা ডাক পিয়নের কদরই ছিল আলাদা। ডাক পিয়নও প্রাপকের হাতে বিদেশি কোন চিঠিপত্র তুলে দিতে বেশ আগ্রহী ছিলেন। কারণ এসব চিঠি প্রাপকের হাতে তুলে দিতে পারলেই প্রাপক তাকে বখশিশ দিয়ে খুশি করতেন।

শুধু চিঠি নয়, পোস্ট অফিসের মাধ্যমে প্রিয়জনের পাঠানো টাকা-পয়সা বা অন্যান্য ডকুমেন্টস’র জন্যও ডাক পিয়নের খোঁজ করতে হতো। ডাক পিয়নও তার দায়িত্ব কর্তব্য যথারীতি পালন করতেন। অনেক সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রাপকের কাছে তার কাঙ্খিত চিঠিপত্র, টাকা পয়সা বা অন্যান্য ডকুমেন্টস পৌঁছে দিতেন তারা। ঝড়, বৃষ্টি ও রোদ উপেক্ষা করে আপনজনের কাছে লেখা চিঠি ডাক বাক্সে পোস্ট করতো সকলে।

আর তখন ডাক বাক্সগুলোও সবসময় লাল রঙে রাঙিয়ে রাখা হতো যেন সহজেই তাতে মানুষের দৃষ্টি পড়ে।  কিন্তু কালের পরিক্রমায় তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নে এখন আর প্রিয়জনের কোন খবর জানতে ডাক পিয়নের পথ চেয়ে থাকতে হয় না। প্রিয়জন পৃথিবীর যেকোন প্রান্তেই থাক না কেন মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেটসহ বিভিন্ন উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যে তার খবর নেওয়া যায়।

আর নিমিষের মধ্যে বিকাশ এবং অনলাইনসহ বিভিন্ন উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে টাকা-পয়সা লেনদেন করা যায় বলে এখন আর কদর নেই ডাক পিয়নের। ফলে ডাক বাক্স বা পোস্ট অফিসের গুরুত্বও কমে গেছে। বর্তমানে চাকরি বা অফিসিয়াল চিঠিপত্র লেনদেন ছাড়া পোস্ট অফিস বা ডাক বাক্সের প্রয়োজন হয় না। কোথাও কোথাও ২/১টি ডাক বাক্স চোখে পড়লেও সেটিতে আর কেউ চিঠিপত্র পাঠায় না।

এতে করে ডাক বাক্সগুলো অত্যন্ত জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। উপজেলা পোস্ট মাস্টার আফজাল হোসেন বলেন তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে এখন আর কেউ ডাক পিয়ন বা ডাক বাক্সের মাধ্যমে চিঠিপত্র লেনদেন করেন না। তাই ডাক বাক্স বা ডাক পিয়নের গুরুত্ব নেই।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS