ভিডিও

বগুড়ার শেরপুরে ফিলিং স্টেশন মালিকের বিরুদ্ধে ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে

প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২৪, ১০:৪৩ রাত
আপডেট: সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২৪, ১০:৪৩ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার শেরপুরে তিন ভাই ফিলিং স্টেশনের সত্ত্বাধিকারী সোবাহান আলী ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে তিন কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ব্যবসায়িক লভ্যাংশ দেওয়ার লোভ দেখিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ওই পরিমাণ টাকা নেন তারা। কিন্তু পাওনাদারদের সেই টাকা পরিশোধের নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলেও টাকা ফেরত দিতে তালবাহানা করছেন তারা। পাশাপাশি গোপনে জমিসহ ওই ফিলিং স্টেশনটি বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টাও চালাচ্ছেন চক্রটি।

এদিকে জমিসহ ফিলিং স্টেশনটি বিক্রি খবর পেয়ে আজ রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই সেখানে পাওনাদারসহ তাদের লোকজন জড়ো হতে থাকেন। একপর্যায়ে ফিলিং স্টেশনটি দখলে নিয়ে টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি জানিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। ঘন্টাব্যাপী চলা এই কর্মসূচি থেকে দ্রুত টাকা পরিশোধে আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।

এতে অংশ নেয়া শেরপুর বারোদুয়ারীপাড়ার মোজাম্মেল হক বলেন, ব্যবসায়িক লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে তিন ভাই ফিলিং স্টেশনের মালিক উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের চৌবাড়ীয়া গ্রামের তাছের আলীর ছেলে আব্দুস সোবাহান আলী, সৈয়ব আলী ও মো. সুমন মিয়া তার কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা নেন। কিন্তু লভ্যাংশ দেওয়া তো দূরের কথা, এখন আসল টাকাই দিচ্ছেন না।

পাওনা টাকা চাইলেই নানা তালবাহানা করেন। এমনকি প্রাণনাশসহ অব্যাহতভাবে বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সম্প্রতি জমিসহ ফিলিং স্টেশনটি গোপনে বিক্রি করে দেওয়ার জন্য বগুড়ার টিএমএসএস সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন, তবে সেটি সফল হয়নি। বিপুল পরিমাণ টাকা নেওয়ার ঘটনাটি তাদের জানানোর পর এনজিও সংস্থাটি চুক্তি বাতিল করেছে।

শহরের উপশহর এলাকার বাসিন্দা সাইদুল ইসলাম মিঠু অভিযোগ করে বলেন, তিনি ৫২ লাখ টাকা দিয়েছেন। কিন্তু টাকা চাইলেই মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করার হুমকি দিচ্ছেন ফিলিং স্টেশনের মালিক সোবহান আলী ও তাদের লোকজন। তাই ভেবে কোন কূলকিনারা পাচ্ছি না।

একইভাবে শহরের খন্দকারপাড়ার বুলবুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলামের কাছ থেকে এক কোটি ৪০ লাখ টাকা, হামছায়াপুর গ্রামের রওশন আলীর কাছ থেকে ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা, টাউন কলোনির আবুল কালাম আজাদের কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা, শালফা গ্রামের আব্দুর রহিমের কাছ থেকে এক কোটি পাঁচ লাখ টাকা ও বথুয়াবাড়ী গ্রামের ভুলু মিয়ার কাছ থেকে ৯ লাখ টাকা নিয়েছেন বলে মানববন্ধনে জানানো হয়।

বিষয়টি সম্পর্কে বক্তব্য জানতে চাইলে তিন ভাই ফিলিং স্টেশনের সত্ত্বাধিকারী সোবাহান আলী কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। শেরপুর থানার ওসি রেজাউল করিম রেজা এ প্রসঙ্গে বলেন, টাকা ফেরত পেতে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে বলে শুনেছি। এছাড়া উক্ত ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে কি না তা এই মুহূর্তে বলতে পারছি না।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS