ভিডিও

সিদ্ধিরগঞ্জে চাঁদাবাজি নিয়ে বিএনপি-ছাত্রদলের সংঘর্ষ, আহত ৭

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪, ০৬:৪৩ বিকাল
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪, ০৬:৪৩ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলীতে চাঁদাবাজি ও দখলবাজি ঘিরে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের সাতজন আহত হয়েছেন।রোববার রাতে সিটি করপোরেশনের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কদমতলী পুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

 

সংঘর্ষে কাউসার, মিরাজুল, রেজাউল, নিলয়, সাব্বির, সিজান ও জিসান আহত হন। তাদের মধ্যে নিলয়ের অবস্থা গুরুতর। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বিএনপি নেতা শামীম ডালির দখলবাজি ও চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীকে মারধর করলে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

 

৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জামান মীর্জা জানান, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য শামীম ডালির নেতৃত্বে দলীয় কিছু লোক কদমতলী এলাকায় ডিএনডি খাল দখল করে মাছ চাষ, ফুটপাতের দোকান ও ময়লার গাড়ি থেকেও চাঁদা আদায় শুরু করে। একই ওয়ার্ডের বাসিন্দা নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর বিষয়টি জানতে পেরে দখলবাজি ও চাঁদাবাজি করতে নিষেধ করেন। এতে শামীম ডালি ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্রদল নেতাকর্মীকে মারধর করেন।

 

নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর বলেন, শামীম ডালির নেতৃত্বে বিএনপির কিছু লোকজন আওয়ামী লীগের লোকদের সঙ্গে আঁতাত করে সরকারি খাল দখল ও চাঁদাবাজির বিষয়টি জানতে পেরে তিনি তাদের নিষেধ করেন। কিন্তু তারা তাঁর কথা শোনেননি। তাই দোকানদাররা যাতে চাঁদা না দেন, সে বিষয়ে নিষেধ করতে রোববার রাত ৯টার দিকে তিনি ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকর্মীকে পাঠান। চাঁদা দিতে নিষেধ করায় শামীম ডালির সহযোগী আকাশ, হাসান বাবু, মেহেদী হাসান, সোহেল ও আল-আমিনসহ ২০-২৫ জন মিলে ছাত্রদল নেতাকর্মীর ওপর হামলা করে।

চাঁদাবাজি ও দখলবাজির কথা অস্বীকার করে শামীম ডালি বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তারাই দখলবাজি ও চাঁদাবাজি করার জন্য এ নাটক সাজিয়েছে। তারা তাদের কদমতলী পুল এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে ছিলেন। রাত ৯টার দিকে ছাত্রদলের কিছু ছেলে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে ভাঙচুর করেছে।

তবে ছাত্রদল নেতা সাগর বলেন, তারা কোনো ভাঙচুর করেননি। তাদের কার্যালয় তারাই ভাঙচুর করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীর ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছেন।

সংঘর্ষের বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আল মামুন জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়েছেন, বিষয়টি তাদের দলীয়। মৌখিকভাবে দু’পক্ষই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ জানিয়েছে। কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS